সিরিয়ায় এক জঙ্গিকে মারতে গিয়ে ১২ জনের প্রাণ নিল মার্কিন বাহিনী
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন অভিযানে নিহতদের মধ্যে সাতজন শিশু ও তিনজন নারী রয়েছেন। সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। ওই অঞ্চলটিতে হাজারও মানুষ বসবাস করেন। দেশজুড়ে যুদ্ধ চলাকালে ঘর হারানো মানুষ সেখানে আশ্রয় নেয়। আর ওই স্থানেই বিশেষ অভিযান চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আতমেহ গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা সংবাদ সংস্থা এপিকে জানান, হামলার পর গ্রামে বেশি কিছু মরদেহ বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়েছিল।
এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি বলেন, মার্কিন বাহিনী সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযান সফল হয়েছে। এতে মার্কিন বাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আল কায়েদার অনুগত সন্দেহভাজন এক জঙ্গিকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে সেখানে কোনো জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। যদিও অভিযান চলাকালে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এছাড়া মার্কিন অভিযান প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়েছে, এমন ইঙ্গিতও মিলেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো চার্লস লিস্টার জানিয়েছেন, ওই এলাকার বাসিন্দারা বলেছেন অভিযানটি দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে। ইসলামিক স্টেটের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির অভিযানের পর এটিকে সবচেয়ে বড় অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ অভিযানে বাগদাদির মৃত্যু হয়।