সিরিয়ার ইদলিবে উদ্বাস্তু শিবিরে ‘হামলায় নিহত ১৫’
সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইদলিব প্রদেশে সরকারি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে উদ্ধারকারী কর্মীরা জানিয়েছেন।
বুধবার একটি উদ্বাস্তু শিবিরে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে এবং এতে আরও ১৫ জন আহত হন বলে উদ্ধারকারী গোষ্ঠী হোয়াইট হেলমেট (দাপ্তরিকভাবে সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স নামে পরিচিতি) জানিয়েছে।
ইদলিব প্রদেশসহ সিরিয়ার উত্তরপশ্চিম কোনটি আট বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়ে যাওয়া শেষ বড় ভূখণ্ড।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রতিবেশী প্রদেশ আলেপ্পোর গ্রামাঞ্চল থেকে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে সরকারি বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তুরস্ক সীমান্তের কাছে উত্তর ইদলিবের কাহ উদ্বাস্তু শিবিরে আঘাত হানে। হোয়াইট হেলমেটের ভাষ্য অনুযায়ী, এতে শিবিরের তাঁবুগুলোতে আগুন ধরে যায়।
সরকারি বাহিনীর ছোড়া কামানের গোলা কাহের একটি ‘মা ও শিশু’ হাসপাতালেও আঘাত হেনেছে বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে।
এতে হাসপাতালটির কর্মী আহত হওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি জানিয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে রাশিয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অপরদিকে সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশ তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে আসছে। চলতি বছরের প্রথমদিকে এই দুটি দেশের মধ্যস্থতায় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এ অঞ্চলটির জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করা হলেও সেটি কার্যকর হয়নি।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে দেশটির অধিকাংশ অঞ্চল ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ২০১৫ সালে মস্কো আসাদের পক্ষ হয়ে মাঠে নামার পর পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে যায়। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী বিভিন্ন অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে শুরু করে।
সরকারি বাহিনীর এ অগ্রগতিতে সিরিয়ার অন্যান্য অংশ থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসা লোকজন ইদলিব ও সংলগ্ন অঞ্চলে এসে আশ্রয় নেয়।