সিরাজগঞ্জে গৃহবধূ হত্যায় চার ভাইয়ের প্রাণদণ্ড
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সিরাজগঞ্জ শহরে ২০ বছর আগে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী ও তার তিন ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- শহরের মুজিব সড়কের শীলা জুয়েলার্সের মালিক সতীশ চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী সুবীর কুমার রায়, তার ভাই ডা. সুশীল কুমার রায়, সুনীল কুমার রায় ও মনোরঞ্জন কুমার রায়। আসামিরা পলাতক রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক তাদের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজজীবী শেখ আব্দুল হামিদ লাভলু জানান।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে সুবীর কুমারের সঙ্গে টাঙ্গাইল শহরের সাহাপাড়ার গোপীনাথ বিশ্বাসের মেয়ে সুমী রাণীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পাঁচ লাখ টাকার যৌতুকের মধ্যে আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি টাকার জন্য সুবীর ও তার বাড়ির লোকজন সুমীর উপর নির্যাতন শুরু করে। এর জেরে ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুবীর ও বাড়ির লোকজন সুমীকে মারধরের পর গলাটিপে হত্যা করে। এরপর সুমী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্যহত্যা করেছে বলে সুবীরের ছোট ভাই মনোরঞ্জণ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে সুমীকে হত্যা করা হয়েছে বলা হয়।
পিপি আব্দুল হামিদ বলেন, এ ঘটনায় সদর থানার এসআই মনিরুল ইসলাম ২০০১ সালের ১৫ জানুয়ারি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সুমির বাবা সুবীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সুবীরের মাও আসামি ছিলেন। বিচার চলাকালে তিনি মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।