সিবিআইয়ের তদন্তে সুশান্তের কল রেকর্ডে উঠে এলো নতুন তথ্য
সুশান্ত সিং রাজপুত ও রিয়া চক্রবর্তীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে আবারও নতুন তথ্য প্রকাশ্যে। বিভিন্ন সূত্রের খবর, সুশান্তের কল রেকর্ড ঘেঁটে যা তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে গত ৮ জুন থেকে ১৪ জুন (সুশান্তের মৃত্যুদিন) পর্যন্ত রিয়া এবং সুশান্তের মধ্যে কোনওরকম মেসেজ বা ফোন কল আদানপ্রদান হয়নি।
এর আগে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল, মৃত্যুর আগের রাতে সুশান্ত যে দু’জনকে ফোন করেছিলেন তাদের মধ্যে একজন বন্ধু মহেশ শেঠি এবং অন্যজন রিয়া চক্রবর্তী। এরই পাশাপাশি, এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সিবিআই আইনি পদ্ধতি শুরু করেছে। বিহার পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে তারা।
কী হয়েছিল ৮ জুন? ওই দিনই সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ান আত্মহত্যা করেন। ওই একই দিনে সুশান্তের ফ্ল্যাট ছেড়ে নিজের বাড়িতে ওঠেন রিয়া। দিশাকে নিয়েই কি সুশান্তের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল রিয়ার? এ নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা।
জানা যায়, এ বছরের ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি, এই ক’দিনে সুশান্তকে প্রায় ২৫ বার ফোন করেছিলেন রিয়া। এই সময়েই বোনের কাছে চণ্ডীগড়ে গিয়েছিলেন সুশান্ত। এর আগে সুশান্তের পরিবার দাবি করেছিল, গত বছরের নভেম্বরে সুশান্ত তার বোনের বাড়িতে যেতে চাইলেও যেতে দেননি রিয়া।
সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে বিহার সরকার যে সুপারিশ করেছিল কেন্দ্র তা মেনে নেওয়ায় কাজ শুরু করেছে ওই তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। এই মামলায় তিন পক্ষ, অর্থাৎ মুম্বাই পুলিশ, বিহার পুলিশ এবং সুশান্তের পরিবারকে তিন দিনের মধ্যে তাদের মতামত জানাতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
একই সঙ্গে সুশান্তের মত্যুর তদন্তে মুম্বাইয়ে যাওয়া পটনার আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারিকে এখনও কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ বহাল রাখার জন্য বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)-কে একহাত নিয়েছেন বিহার পুলিশের ডিজি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে। তার কথায়, ‘একজন অনডিউটি অফিসারকে হোম কোয়ারেন্টিন করে রাখা আইনত অপরাধ। শীর্ষ আদালতও একে অপেশাদার বলেছেন। আমরা আজকের দিনটা দেখব। কোনও ব্যবস্থা না হলে আইনের সাহায্য নেব। ’
সুশান্তের বাবার করা এজাহারে রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ থাকায় রিয়াকে শুক্রবার (৭ আগস্ট) ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
শুধু ১৫ কোটি নয়, ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, রিয়ার নামে মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় দুটো ফ্ল্যাট আছে। প্রশ্ন উঠেছে, ২০১৮-’১৯-এ ১৪ লাখ টাকা উপার্জন করা রিয়া মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকার দুটো ফ্ল্যাটের মালিক কী করে হলেন? তার তদন্ত করবে ইডি।