সিবলির সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার সামনে রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ডম সিবলি। দ্রুত রান তুলতে ঝড় তুললেন বেন স্টোকস। তাদের দৃঢ়তায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্টে সর্বোচ্চ রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল ইংল্যান্ড। অভিষিক্ত পিটার মালানের লড়াকু ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছে ফাফ দু প্লেসির দল।
জয়ের জন্য ৪৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২ উইকেটে ১২৬ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৩ বলে দুই চারে ৬৩ রানে অপরাজিত মালান। সঙ্গে খেলছেন নাইটওয়াচম্যান কেশব মহারাজ।
আগের দিন মার্ক বাউচার দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন ২০০৮ সালের পার্থ টেস্টের কথা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রায়েম স্মিথ ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরিতে ৪১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল সফরকারীরা।
টেস্টে এর চেয়ে বড় রান তাড়া করে জেতার নজির আছে কেবল একটি। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৩ উইকেট জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে আরও বড় লক্ষ্য। চ্যালেঞ্জের শুরুটায় বেশ ভালো করেছে স্বাগতিকরা। এতে সবচেয়ে বড় অবদান মালানের। প্রথম ইনিংসে ৫ রানে ফিরে যাওয়া এই ওপেনার দেখিয়েছেন চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা।
ডিন এলগারের সঙ্গে ৭১ রানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন মালান। আম্পায়ার অনেক সময় নিয়ে কট বিহাইন্ডের আবদনে সাড়া দিলে রিভিউ নেন এলগার। অবশ্য পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত, ফিরে যান দুই চারে ৩৪ রান করে।মনে হচ্ছিল আর কোনো ক্ষতি ছাড়াই দিন কাটিয়ে দিতে পারবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনের দ্বিতীয় শেষ ওভারে জুবায়ের হামজাকে কট বিহাইন্ড করে স্বাগতিকদের প্রতিরোধ ভাঙেন জেমস অ্যান্ডারসন। বিচ্ছিন্ন হয় ৫২ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
জয়ের জন্য শেষ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন আরও ৩১২ রান। যে কোনো অবস্থাতেই কাজটা কঠিন। তবে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিয়ে স্বাগতিকরা বাঁচিয়ে রেখেছে আশা।
এর আগে নিউল্যান্ডসে সোমবার ৪ উইকেটে ২১৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে ৩৯১ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে।
আগের দিনের মতো সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন সিবলি। অন্য প্রান্তে যেন বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান স্টোকস। সিবলির সঙ্গে ৯২ রানের জুটিতে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের অবদান ৭২ রান। ৪৭ বলের ইনিংসে চতুর্থ ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় মহারাজের বলে ধরা পড়েন সীমানায়।
লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন সিবলি। ২৬৯ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৩৩ রানে। তার ৪৯৭ মিনিট স্থায়ী ৩১১ বলের ইনিংস গড়া ১৯ চার ও এক ছক্কায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৬৯
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২২৩
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (আগের দিন ২১৮/৪) ১১১ ওভারে ৩৯১/৮ ইনিংস ঘোষণা (সিবলি ১৩৩*, স্টোকস ৭২, পোপ ৩, বাটলার ২৩, কারান ১৩, ব্রড ৮*; রাবাদা ২০-৩-৬৯-২, ফিল্যান্ডার ১৪-৭-২৪-০, নরকিয়া ১৮-২-৬১-৩, প্রিটোরিয়াস ১৬-৪-৫৬-১, মহারাজ ৪৩-৯-১৬০-২)
দক্ষিণ আফ্রিকা: (লক্ষ্য ৪৩৮) ৫৬ ওভারে ১২৬/২ (মালান ৬৩*, এলগার ৩৪, হামজা ১৮, মহারাজ ২*; অ্যান্ডারসন ৯-৪-১৮-১, ব্রড ৯-২-২০-০, বেস ১২-৩-২৯-০, কারান ৮-২-১৩-০, ডেনলি ৮-০-২৬-১, রুট ৩-০-৭-০, স্টোকস ৭-৩-৮-০)