সিনহা হত্যা: সিফাতের জামিন মঞ্জুর
পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান মৃত্যুর ঘটনার পর পুলিশের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১০ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে কক্সবাজারে টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত জামিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে তদন্তভার র্যাব-১৫ কে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিফাতের প্রধান আইনজীবী মোস্তফা অ্যাসোসিয়েটের সদস্য মাহবুবুল আলম টিপু।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহিরছড়া পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা। এ সময় তার সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন সিফাত। পুলিশের মামলায় সিফাতের বিরুদ্ধে পরস্পর (সিনহা ও সিফাত) যোগসাজশে সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশে অস্ত্র তাক করা ও মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে এবং ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার ১১দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পেলেন।
ওই দিন সিনহা-সিফাতরা যে রিসোর্টে উঠেছিলেন, সেখান থেকে শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। প্রায় ১০ দিন পর রোববার শিপ্রাকে জামিনে মুক্তি দেন আদালত।
ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র বানাতে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত, শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত।
গত ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে টেকনাফ থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে হিমছড়িতে আসছিলেন মেজর (অব.) সিনহা। ওই গাড়িতেই ছিলেন সিফাত। বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে গাড়ি থামালে গাড়ি থেকে নেমে আসেন সিনহা ও সিফাত। সেখানে পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে মারা যান সিনহা। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেখানে সিফাতকে আসামি করা হয়।