সিএনজি চালক খুনের ঘটনায় ৮ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাজধানীর গুলশান থানার একটি মামলায় ৮ ছিনতাইকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জারিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার ৫-নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান গতকাল বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিলার হোমনা থানার লাটিমা এলাকার মৃত্যু আব্দুল কাদেরের ছেলে স্বপন ওরফে রাজু (৩২), পিরোজপুরের জিয়া নগর থানার টাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন (৪৫), বরিশালের আগৈলঝড়া থানার আম বৈলা এলাকার বলু মিয়ার ছেলে আকবর (৩৫), ময়মনসিং মুক্তাগাছা থানার বাদেকল মৌনা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে শেখ ফরিদ (২২), ঢাকার ডেমরা থানার আডিয়াল স্কুলের পশ্চিম পার্শে মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে মিজানুর রহামান মিজান ওরফে মির্জা (২৯), নড়াইলের নড়াগাতি থানার পহরডাঙ্গা এলাকার হাসান শেখের ছেলে মফিজ শেখ (২৬), নড়াইলের নড়াগাতি থানার পহরডাঙ্গা এলাকার ইসমাইল শেখের ছেলে সেলিশ শেখ (৩৫) ও মাদারিপুরের শিবচর থানার সিপাইকান্দি ফরাজী হাটের কাছাকাছি করিম মোলার ছেলে কাদির মোলা (২২)। রায় ঘোষণার পরে আসামি স্বপন ওরফে রাজু, মিজানুর রহামান ওরফে মির্জা, সেলিশ শেখকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পলাতক আসামি জামাল হোসেন, আকবর, শেখ ফরিদ, মফিজ শেখ, কাদির মোলার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর হাশমত আলী মোলা নামে এক সিএনজিচালককে আসামিরা চায়ের সঙ্গে কৌশলে নেশার গুরা মিশিয়ে খাওয়ায়। পরে সিএনজি মহাখালী ফ্লাইওয়ারের উপরে কিছুটা ওঠার পরে সিএনজি চালক হাশমতের বুকের বাম দিকে ছুরি মারে মুখ চেপে ধরে আসামিরা। কিছুক্ষণ পরে হাশমতের লাশ মহাখালী ফ্লাই ওভারের উত্তর দিকের ঢালে ফেলে সিএনজি নিয়ে চলে যায়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরদিন নিহত হাশমত আলী মোলার ছেলে গুলশান থানায় মামলা করেন এবং আসামিরা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষ ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি ৮ আসামিরি বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।