সারাদেশে নৌ ধর্মঘট স্থগিত
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নিয়োগপত্র, ভাতা, চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তি এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার প্রথম প্রহর থেকে সারা দেশে নৌ চলাচল বন্ধ রাখার পর বিকালে নৌ অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফেডারেশন নেতাদের কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা আসে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলাম বিকাল পৌনে ৫টায় বলেন, যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে আমরা কর্মবিরতির কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করছি।
এর আধা ঘণ্টা পর বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শুক্কুর মাহমুদ বলেন, দেশে বন্যা চলছে, শ্রম প্রতিমন্ত্রীও দেশের বাইরে। যাত্রীদের দুর্ভোগ আর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটও স্থগিত করা হল।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, শ্রম অধিদপ্তরের মহা পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন। তারা যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আলাপ আলোচনা করে আপাতত নৌযান চালালের ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকা সদরঘাটে বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, আমরা ধর্মঘট স্থগিতের খবর পেয়েছি। তবে সদরঘাটে এখনও লঞ্চ এসে সেভাবে ভেড়েনি। এখন ধর্মঘট উঠে গেলেও যাত্রী খুব বেশি আসবে না। কাল থেকে হয়ত লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এই ধর্মঘটের কারণে সারা দেশে লাইটার জাহাজ (ছোট আকারের পণ্যবাহী জাহাজ) চলাচল বন্ধ থাকে সারা দিন। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙরে মাদার ভেসেল (বড় আকারের জাহাজ) থেকে পণ্য খালাসও বন্ধ থাকে।
সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখায় ভোগান্তিতে পড়ে রাজধানীসহ দক্ষিণ জনপদের বিভিন্ন জেলার নৌপথের যাত্রীরা। ফেডারেশনের ১১ দফা দাবির মধ্যে মালিকপক্ষের কাছে সাত দফা এবং সরকারের কাছে চার দফা দাবি রয়েছে।