সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ কারাগারে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদকে যেতে হল কারাগারে। একদিন আগে গ্রেপ্তার কায়সার হামিদকে সোমবার ঢাকার আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। এই ফুটবলারের পক্ষে জামিনের আবেদনও হয় আদালতে। অন্যদিকে তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. শামসুদ্দিন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ জামিন আবেদন নাকচ করে কায়সার হামিদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক কায়সার হামিদ বাংলাদেশে ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ‘মোহামেডানের কায়সার হামিদ’ নামেই পরিচিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দলের সদস্য কায়সার হামিদ ১৯৮৯ সালে ডাকসু নির্বাচনও করেছিলেন।
গত শতকের ৯০ এর দশকের শুরুতে ফুটবল থেকে বিদায় নেওয়ার পর কায়সার হামিদ জাকের পার্টিতে যোগ দিয়েও আলোচনার জন্ম দেন। এই দলটির হয়ে সংসদ নির্বাচনে গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি।
ফুটবল ছাড়ার পর কায়সার হামিদ ‘নিউওয়ে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি খুলেছিলেন। ওই কোম্পানির জন্য বিভিন্ন জন থেকে অর্থ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে করা এই মামলায় আরও কয়েকজন আসামি।
আদালতে সোমবার দেওয়া পুলিশের আবেদনে বলা হয়, কায়সার হামিদসহ অন্য আসামিরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে অধিক মুনাফা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে কোম্পানি বন্ধ করে দেন। এই মামলার বাদীর কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কায়সার হামিদকে আটক রাখার আবেদন করেন সিআইডি কর্মকর্তা শামসুদ্দিন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু সাঈদ বলেন, কায়সার হামিদ মামলার বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানতেন না। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগও নেই। তাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করা হয়েছে।
কায়সার হামিদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পরিচয় তুলে ধরে এই আইনজীবী বলেন, তিনি যদি এ মামলার বিষয়ে আগে জানতেন, তাহলে আদালত থেকে আগেই জামিন নিতেন। কায়সার হামিদের মা রানী হামিদ বাংলাদেশের সেরা দাবাড়ুদের একজন। তার বাবা প্রয়াত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল হামিদও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।