সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামী আটক
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার দেবহাটায় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার একমাত্র আসামী ভিকটিমের প্রেমিক পার্থ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ইলেকট্রিক ক্যাবল ও একটি বাইসাইকেল জব্দ করা হয়। রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসবিফিং-এ সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এসব কথা জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, দেবহাটা উপজেলার টিকেট গ্রামের শান্তিরঞ্জন দাসের মেয়ে গাভা একেএম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা দাসকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ শেষে গলায় ক্যাবল পেঁচিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে তার প্রেমিক একই গ্রামের একই গ্রামের শিবপদ মন্ডলের ছেলে প্যারা মেডিকেলে অধ্যয়নরত ছাত্র পার্থ মন্ডলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সবজি বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে পূর্ণিমার বাবা শান্তি রঞ্জন দাস দেবহাটা থানায় পার্থকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শনিবার রাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় পার্থকে সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্ত এলাকা থেকে গেপ্তার করে। পরে পুলিশের কাছে জবানবন্দীতে পার্থ মন্ডল পূর্ণিমাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ সুপার গ্রেপ্তারকৃত পার্থের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলেন, পূর্ণিমা দাসের সঙ্গে পার্থ মন্ডলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক বছর আগে পূর্ণিমাকে বিয়ের জন্য পার্থ মন্ডল প্রস্তাব দেয়। এতে পূর্ণিমার বাবা শান্তি রঞ্জন দাস রাজি না হওয়ায় পার্থ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় পার্থ অসুস্থ হয়ে পড়লে পূর্ণিমা তাকে আর কোন খোঁজ খবর না নিয়ে তাকে এড়িয়ে চলে এবং এলাকার বাইরের একাধিক ছেলের সাথে পূর্ণিমা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে খবর আসে পার্থের কাছে। এতে পার্থ ক্ষিপ্ত হয়ে মনে মনে পরিকল্পনা করে সে যদি পূর্ণিমাকে না পায় তাহলে অন্য কাউকেও পূর্ণিমাকে পেতে দিবে না। এরই জেরে সুযোগ বুঝে পার্থ তাকে হত্যা করে বলে আরও জানান পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়