সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষে আহত ৪, আটক ৫
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুই জনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় দফা হামলায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আরো দুইজন ছাত্র পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করেছে। আহত উজ্জ্বলের কাছ থেকে একটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বর্তমানে জেলা কমিটিবিহীন ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে নতুন কমিটির সভাপতি-সম্পাদক পদ নিয়ে আশিক গ্রæপ ও পারভেজ গ্রæপ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পড়ে। আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে তাদের মধ্যকার বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষ ঘটেছে বলে জানা গেছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আশিক জানান, তার সমর্থিত ইব্রাহীম, হাসানুজ্জামান নিশান ও সাকিবসহ কয়েকজন ছাত্র শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বসে গল্প করছিল্ । এ সময় পারভেজ গ্রæপ সমর্থিত ফরহাদের সাথে সিগারেট খাওয়া নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ছুরিকাঘাত করে হামলার ঘটনা ঘটে।
পারভেজ গ্রæপ সমর্থকরা জানান, আনোয়ার সুমন, দেলোয়ার, আশিক, আদনান এই হামলার জন্য দায়ী। এতে কলেজ ছাত্র উজ্জ্বলসহ কয়েকজন আহত হন। উজ্জ্বল জানান, আশিক গ্রæপ সজীব ও ফরহাদকে মারপিট করছিল। উজ্জ্বল তাদের ঠেকাতে গেলে তিনিও আহত হন।
উজ্জ্বল অভিযোগ করে বলেন, তাদেরকে মারপিটের পর তারা হাসপাতালে গেলে সেখানে আরও এক দফা হামলার ঘটনা ঘটে। তবে আশিক গ্রæপ জানিয়েছে, তার সমর্থকরা পারভেজকে গালাগাল করেছে এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে, সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। লিজা নামের ওই মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ উপলক্ষে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ অধ্যক্ষ মাধব চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু ভাষণের উপর আলোচনায় অংশনেন, অধ্যাপক আব্দুল মাজিদ, মোহাহিদুল ইসলাম, আসাদউল্লাহ, আজিজুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, রায়হান উদ্দিন প্রমুখ।
কবিতা পাঠ করেন অধ্যাপক মিনু মমতাজ ও মনিরুজ্জামান মোড়ল। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৭ মার্চ এর ভাষন ছিল বাঙালী জাতির প্রতি স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা। এই কালজয়ী ভাষন বাঙ্গালীদের কে সকল সময়ে অনুপ্রেরণা যোগায় ও উজ্জীবিত করে।