November 24, 2024
আঞ্চলিক

সাতক্ষীরায় তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার বই বিতরণের পর ফেরত নেয়া হলো

সাতক্ষীরায় তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার বই বিতরণের পর তা ফেরত নেওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদের ভেতরে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন বিষয়বস্তু পাওয়া যাওয়ায় বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে ফেরত পাঠানো হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ১ জানুয়ারি বই উৎসব পালিত হয়েছে। ওইদিনই সব বই বিতরণ করা হয়। রাত ১১টার দিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হোয়াটসঅ্যাপে একটি ম্যাসেজ দেন। যেখানে ২ তারিখ বেলা ১১টার মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার বই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফেরত নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানোর কথা বলা হয়। আমরা পরদিন দ্রুত স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বই ফেরত নিয়ে ১১টার মধ্যে শিক্ষা অফিসে পাঠিয়ে দেই। বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস ১২টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আমরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বইগুলো ফেরত আনি।

 

প্রত্যাহারকৃত বইয়ে আসলে কী সমস্যা ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রণজনিত ত্র“টি দেখা গিয়েছিল। আমরা আসলে অতো দেখিনি, তড়িঘড়ি করে বইগুলো সংগ্রহ করে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।

অভিভাবক আলমগীর হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে ১ তারিখে বই দেওয়া হয়েছিল। ২ তারিখে সকালেই তা আবার ফেরত নেওয়া হয়। শুনেছি বইয়ের মলাটে উল্টোপাল্টা কী যেন ছিল। আমি দেখিনি বা দেখার সময়ও পাইনি।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, সব সময় শুনি প্রশ্নে ভুল, বইয়ে ভুল! আসলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা কী করেন, তাদের শাস্তি হয় না কেন? বিষয়গুলো খুবই অস্বস্তিকর। মানুষের বিশ্বাসে আঘাত লাগে, এমন ঘটনা ঘটায় কারা? তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। আর এগুলো বিতরণের আগে চেক করা উচিত ছিল নয়কি?।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার বই বিতরণের পর ৩১ হাজার ৪৭২টি বই ফেরত নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল গণি বলেন, সদর উপজেলায় ৮ হাজার ১৫০টি বই বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ২৩৩টি বইয়ের মলাটের ভেতরে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন বিষয়বস্তু পাওয়া যায়। তবে সেসব বই প্রত্যাহার করা হয়েছে। বইগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে আরা কারিমি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই মুহূর্তে কোনো কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব না।

শেয়ার করুন: