সাড়ে ১০ কোটি টাকায় মেসির ‘বিশত’ কিনতে চান তিনি
বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নেওয়ার আগে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে ‘বিশত’ পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা নিজ থেকেই পরিয়ে দেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি।
আরব্য সংস্কৃতি অনুযায়ী, পোশাকটিকে উঁচু সম্মান-মর্যাদা ও আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
টাকার বিনিমিয়ে সেটা বিক্রির ইচ্ছা নেই মেসির! কারণ পোশাকটি একজন ভিনদেশি মানুষের জন্য কতটা সম্মানীয় তা বোঝেন মেসি। আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডের জন্মভূমি রোসারিওর জাদুঘরে রাখা হতে পারে সেই বিশত। তবে মেসির সেই পোশাকটি কিনতে ১ মিলিয়ন ডলার (সাড়ে ১০ কোটি টাকারও বেশি) দাম হাঁকিয়েছেন ওমানের সংসদ সদস্য ও উকিল আহমেদ আল বারওয়ানি।
টুইটারে তিনি লেখেন, ‘ওমান সালতানাতের পক্ষ থেকে, বিশ্বকাপ জয়ের জন্য আপনাকে অভিন্দন জানাচ্ছি আমি। বিশত হলো আরব্য বীরত্ব ও পাণ্ডিত্যের প্রতীক। সেই বিশতের জন্য আমি মিলিয়ন ডলার প্রস্তাব দিচ্ছি। যখন কাতারের আমির মেসিকে বিশত পরিয়ে দিচ্ছিল আমি সেসময় স্টেডিয়ামে ছিলাম। সেই মুহূর্ত বিশ্বকে জানিয়ে দিচ্ছিল, এটা আমাদের সংস্কৃতি এবং দয়া করে ভালোভাবে জেনে নিন আমরাও আছি এখানে। ’
‘ওই গর্বের মুহূর্তটি মনে করিয়ে দেয় আমরা সবকিছু করতে পারি। এই টুর্নামেন্টটি গর্বের উৎস । একইসঙ্গে ফিলিস্তিনকে যে আমরা ভুলে যায়নি এবং আরবরা এক ও ঐক্যবদ্ধ , এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে। ’
মেসিকে বিশত পরানো নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। বিশেষ করা বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, মেসিকে জোর করে ‘ধর্মীয়’ পোশাক পরানো হয়েছে। সাবেক ফুটবলারদের একটা অংশও মেসির গায়ে বিশত নিয়ে ক্ষুব্ধ। সাবেক ইংরেজ ফুটবলার গ্যারি লিনেকার যেমন বলেছিলেন, ‘এটা লজ্জাজনক। একদিক থেকে ওরা মেসির আর্জেন্টিনার জার্সিটাই ঢেকে দিল। ’ আর্জেন্টিনার সাবেক ডিফেন্ডার পাওলো জাবালেতাও ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ‘এটা কেন করা হবে? কেন? এটার তো কারণ থাকতে পারে না। ’