সাগর-রুনি হত্যা মামলা : সাত বছরে ৬২ বার সময়ের আবেদন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সাত বছরেও শেষ হয়নি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার মামলা। এই সাত বছরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬২ বার সময় পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। হত্যার রহস্য উদঘাটনে আর কত সময় লাগবে তাও জানে না তদন্তের দায়িত্বে থাকা র্যাব। এদিকে তদন্ত নিয়ে হতাশ সাগর-রুনির পরিবার।
১১ ফেব্র“য়ারি ২০১২ সালে হত্যাকাণ্ডের পর সাত বছরেও মামলাটির কোনো কূল-কিনারা না হওয়ায় হতাশায় ভুগছে তাদের পরিবার। পরিবারের প্রশ্ন, হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে আর কত সময় লাগবে? বিচার পাওয়ার আশায় আর কতদিন পথ চেয়ে থাকতে হবে। আমাদের পরিবার কি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আদৌ পাবে?
মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, মামলাটির তদন্তের কোনো অগ্রগতিই নেই। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার অগ্রগতির বিষয়ে কোনো কিছুই জানান না। মামলার বিচার নিয়ে আমাদের পরিবার হতাশ।
মামলা তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলাটির অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার জন্য চলতি মাসের (ফেব্র“য়ারি) ১৭ তারিখ দিন ধার্য রয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ ফেব্র“য়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। খুন হওয়ার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাব বের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬২টি ধার্য তারিখ পার হয়েছে।
মামলায় ৮ জনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মিন্টু, কামরুল হাসান, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম আবু সাঈদ ও এনাম আহম্মেদ কারাগারে রয়েছে। পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।