সাগরে ভাসা রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের আহ্বান
বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে ভাসা কয়েক শত রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করার জন্য এ অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক তিনটি সংস্থা।
বুধবার (৬ মে) এ তিন সংস্থার ব্যাংকক অফিসের বরাদ দিয়ে ঢাকার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধবিষয়ক দফতর (ইউএনওডিসি) এক যৌথ বিবৃতিতে সাগরে ভাসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে এসব রোহিঙ্গাদের সাগরে ভাসা খুবই উদ্বেগজনক। তবে ২০১৬ সালের বালি ঘোষণা অনুযায়ী এ অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। বালি ঘোষণার সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে তিন সংস্থা। একই সঙ্গে এসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে এসব সংস্থা।
উল্লেখ্য, দু’টি নৌকায় করে ৫০০ রোহিঙ্গা এখন বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে ভাসছে। এসব রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়ায় যেতে চেয়েছিলেন। তবে মালয়েশিয়া সরকার নৌকা দু’টি ভিড়তে দেয়নি। সে কারণে বেশ কিছুদিন ধরে নৌকা দু’টি সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, এসব রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাদের সাহায্যের জন্য অন্য দেশও এগিয়ে আসতে পারে। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, এ অঞ্চলে আরও দেশ আছে। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, ফিলিপাইন তাদের কাছে কেউ রোহিঙ্গাদের নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে না। শুধু বাংলাদেশের কাছে করে কেন। এছাড়া এসব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জলসীমায় নেই। তারা গভীর সমুদ্রে রয়েছে বলেও জানান ড. মোমেন।
এর আগে গত ২ মে সাগরে ভাসা ২৮ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে ভাসানচরে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া গত ১৬ এপ্রিল ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা নৌকাযোগে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এলে বাংলাদেশ তাদের গ্রহণ করেছে। এখন এসব রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে রাজী নয় বাংলাদেশ। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সাগরে ভাসা রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।