সাগরিকায় এবারও ‘রানবন্যা’ দেখছে শ্রীলঙ্কা
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম মানেই রানপ্রসবা উইকেট। যে উইকেটে বোলারদের সাহায্য থাকে অল্পই, সময় কাটাতে পারলেই রানের ফল্গুধারা ছোটান ব্যাটাররা। বিশেষ করে খেলা যদি হয় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে, তাহলে রানবন্যার ম্যাচই উপহার দেয় সাগরিকা।
বাংলাদেশের মাটিতে সবশেষ দুই টেস্ট সিরিজে চট্টগ্রামে একটি করে ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কা। দুইবারই দেখা গেছে রানের পাহাড়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ দল প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রান করে অলআউট হয়। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেট গড়ে ৭১৩ রানের পাহাড়। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩০৭ রান করলে ম্যাচটি ড্র হয়।
এর আগে ২০১৪ সালে দুই দল মুখোমুখি হয়েও রানের বন্যা বইয়েছিল। প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রান করেছিল লঙ্কানরা, বাংলাদেশ থামে ৪২৬ রানে। সফরকারীরা এরপর ৪ উইকেটে ৩০৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করার পর বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ২৭১ রান করলে নিষ্ফলা ড্র দিয়েই শেষ হয় ম্যাচ।
এ দুই ম্যাচের প্রথমটিতে টুইন টন তথা জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকান কুমারা সাঙ্গাকারা। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারসেরা ৩১৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১০৫ রান। আর দ্বিতীয়টিতে টুইন টন আসে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। তিনি প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হন ১০৫ রান করে।
প্রায় চার বছর পর আবারও সাগরিকায় টেস্ট খেলতে নামছে দুই দল। এ ম্যাচেও রানবন্যা দেখছেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারাত্নে। আগের দুই ম্যাচে দলে ছিলেন করুনারাত্নে। এবার অধিনায়ক হিসেবেও রানপ্রসবা উইকেটের আশা করছেন তিনি। আর উইকেট ফ্ল্যাট হলে বোলারদের কাজ হবে কঠিন, সেটিও মাথায় আছে তার।
শনিবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে করুনারাত্নে বলেছেন, ‘(২০ উইকেট নেওয়া) সহজ হবে না। তবে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এ উইকেটে বোলারদের জন্য কিছুই থাকবে না। তবে আমি মনে করি, আপনি যদি মাথা খাটিয়ে বোলিং করতে পারেন, তাহলে উইকেট পেতে পারেন।’
উইকেট সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে পুরোপুরি ফ্ল্যাট উইকেট, বোলারদের জন্য কিছুই নেই। আমি যেমনটা বললাম, মাথা খাটিয়ে বোলিং করতে পারলে এখানে ২০ উইকেট নেওয়া যাবে। যদি উইকেট নাও আসে, তবু মাথা খাটিয়ে ব্যতিক্রম কিছু চিন্তা করতে হবে। আমরা সেভাবেই পরিকল্পনা করছি।’
লঙ্কান অধিনায়কের মতো সাগরিকার ফ্ল্যাট উইকেটের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকও। তাই একাদশে বাড়তি বোলারের চাহিদা থাকবে জানিয়েছেন তিনি, ‘চট্টগ্রামে রান বেশি হয়, বোলারের চাহিদা বেশি থাকে। এটার প্রভাব পড়তে পারে একাদশে।’