সাকিবের ব্যাট নিলামে পেল ২০ লাখ টাকা
ভিত্তি মূল্য রাখা হয়েছিল ৫ লাখ টাকা। উত্তেজনাময় দর কষাকষি শেষে সাকিব আল হাসানের প্রিয় ব্যাট শেষ পর্যন্ত নিলামে বিক্রি হয়েছে ২০ লাখ টাকায়। এই অর্থের পুরোটাই যাবে সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনে। সহায়তা করা হবে করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষদের।
নিলামে সাকিবের ব্যাটটি কিনেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একজন বাংলাদেশি। তার নাম রাজ।
প্রাথমিকভাবে বুধবার রাত ১১টা পর্যন্ত নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও পরে অনেকের আগ্রহ দেখে সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয় ১৫ মিনিট।
নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক পাতায় মঙ্গলবার রাতে নিলামের ঘোষণা দেওয়ার পর সাকিব বলেছিলেন, এই ব্যাটে দেড় হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান করেছেন তিনি। গত বিশ্বকাপের পুরোটাই খেলেছেন এই ব্যাট দিয়ে। বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ, ৮৬.৫৭ গড়ে করেছিলেন ৬০৬ রান।
অনলাইনে যে প্ল্যাটফর্মে নিলাম হয়েছে, সেখানে বুধবার রাতে নিলাম শেষ হওয়ার আগে সাকিব শোনান এই ব্যাটের গল্প।
“২০১৯ আইপিএলের সময় দুটি ব্যাট দিয়ে অনুশীলন করতাম। সাধারণত আমরা প্র্যাকটিসের ব্যাট দিয়ে ম্যাচে খেলি না। আইপিএলের পর যখন আয়ারল্যান্ডে গেলাম (ত্রিদেশীয় সিরিজে), আমার কাছে নতুন ম্যাচ ব্যাট ছিল, তারপরও এই ব্যাট ধরে মনে হলো, খুব ভালো অনুভব করছি। ব্যাটটি ধরেই একটি ভালোলাগা কাজ করছিল। এজন্য ওই ব্যাট দিয়ে ম্যাচে খেললাম। ভালো করতে থাকার পর ওই ব্যাট দিয়েই খেলে গেলাম। বিশ্বকাপেও মনে হলো, এটি দিয়েই খেলি।”
“বিশ্বকাপে সব ম্যাচে ওই ব্যাটে খেলে গেলাম। ভালো করছিলাম বলে আর বদলাতে চাইনি। একটি ম্যাচে কেবল অন্য একটি ব্যাট হাতে নিয়েছিলাম, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২০ রান করার পর। অন্য ব্যাট নিয়ে আর এক রানও করতে পারিনি (১২১ করেছিলেন সেই ম্যাচে)। তারপর আরও বেশি মনে হয়েছে, এই ব্যাটেই খেলতে হবে।”
সাকিব জানালেন, বিশ্বকাপের সময় ব্যাট একটু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও টেপ পেঁচিয়ে খেলে গেছেন সেটি দিয়েই। এমনকি খেলে গেছেন বিশ্বকাপের পর, নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত। সাকিবের ভাষায় ওই ব্যাট দিয়ে তিনি এখনও নট আউট আছেন!
নিলামের আগে সাকিব বলেছিলেন, এই ব্যাট তার কতটা প্রিয়।
“বলতে পারেন, আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যাট এটি। যেহেতু আমার খুব কাছের এটি, তাই সহজে ছাড়তেও মন চায় না। তারপরও আমার কাছে মনে হলো, ভালো কাজের জন্য যদি এটা কাজে লাগে, তাহলে অবশ্যই ভালো হবে। ব্যাট প্রিয় হলেও মানুষের জীবনের চেয়ে মূল্যবান তো আর কিছু নয়।”