সাইতারের পথে-পর্ব ২
অনিক সাহা
রাস্তা এতটাই ফাঁকা ছিল যে বাসে বসে ভাবছিলাম আমরা রাত ২/২.৩০ টার দিকে কেরানীহাটে পৌঁছে যাব, ওখান থেকে মাহেন্দ্র করে বান্দরবান যেতে হবে, সময় লাগবে ঘন্টা খানেক … কিন্তু এত তাড়াতাড়ি যেয়ে করবো কি!! বান্দরবন থেকে চাঁদের গাড়ি তো সেই সকালে। সিলভী বললো, চলেন আমরা কক্সবাজারেই চলে যায়, ওখান থেকে পা ভিজিয়ে বান্দরবনের বাসে উঠে পড়বো, ঘন্টা দুয়েক লাগবে। পারফেক্ট প্লান মনে হইলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারনে এটা আর করা হলো না। কেরানীহাট এ নামলাম অবশ্য ৪ টার দিকে।
ট্যুরমেটরা মিলে এক হোটেলে ঢুকে চা নাস্তা করে মাহেন্দ্র নিয়ে রওনা দিলাম বান্দরবনের পথে।
বাসে আসলে টেরই পেতাম না বান্দরবনে যাবার রাস্তা এত ভয়ংকর সুন্দর।

বান্দরবনে পৌঁছানোর পর দেখি পরিচিত অনেক মানুষ এসেছে এখানে, কেউ বগালেক কেওক্রাডং , কেউ নীলগিরি নিলাচল।
বেশ কিছুক্ষন গল্প হল তাদের সাথে… কিছুক্ষন বাদে আমাদের চাঁদের গাড়ি হাজির … নিয়ে যাবে রোয়াং ছড়ি পর্যন্ত।
পুনশ্চঃ ঢাকা থেকে আসার পথে আমার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগের ফিতা ছিড়ে গেছিল, ঠিক করার কোনো উপায় না পেয়ে ওইভাবেই যাচ্ছিলাম, কিন্তু পরে জানলাম রোয়াংছড়ি থেকে খানিক দূর নৌকাতে যেয়ে আমাদের হাঁটতে হবে, ঘন্টা ৪ ট্রেকিং। তখন ওই ব্যাগ নিয়ে হাঁটা রীতিমত ভয়ংকর ব্যাপার।
কি করবো এটা ভাবতেছি আর চাঁদের গাড়ির পিছনে ঝোলার ট্রাই করতেছি, পাশ থেকে মানসী সাকিয়া ঝুলে ঝুলে বলতেছে, “তুই যা যা … ভিতরে যা!! নইতো পরে যাবি…
পর্ব ১ঃ https://bit.ly/2HtS7lq