November 29, 2024
আঞ্চলিক

সাইকেলে চড়ে ভারতে খুলনার দুই সাইক্লিষ্ট

 

দ: প্রতিবেদক

গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সাইকেল প্রচারণা অভিযান শুরু করেছেন শেখ শরিফুল ইসলাম হিরন, গাজী বাহারুল ইসলাম। এবারের স্লোগান: সাইকেল চালান, শব্দ ও পরিবেশ দুষণ কমান, গাছ লাগান, মাদককে না বলুন। তারা রাতে যশোর এপেক্স ক্লাবে প্রোগ্রাম শেষে রাত থাকবে আজ মঙ্গলবার যশোর থেকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে।

তারা বলেন আমরা ‘ঠোট কাটা তালু কাটা’ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ২০১৪ সালে আমরা বাংলাদেশের ৬৪ জেলা বাই-সাইকেলে ভ্রমন করেছিলাম। আমাদের এই উদ্যোগ তখন সারাদেশে সাড়া জাগিয়েছিল যার সুফল অনেকেই পেয়েছেন এবং পাচ্ছেন। আমাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আমাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল পেডরোলো এন, কে, লিঃ, প্রাইম ব্যাংক, উত্তরা মটরস ও খগজঋ, স্মাইল ট্রেন্ট।

আমরা ২০১৮ সালে এপেক্স বাংলাদেশের হয়ে খুলনার রূপসা সেতু থেকে ভারতের হাওড়া ব্রীজ পর্যন্ত প্রচারণা করেছিলাম। যার ফলে দুইদেশের এপেক্সশিয়ান দের মধ্য বন্ধুত্ব আর গাড় হয়ে ছিল। দুই বাংলার মিডিয়া গুলাতে ব্যাপক ভাবে প্রচার করেছিল। আমাদের এবারের স্লোগান “সাইকেল চালান, গাছ লাগান পরিবেশ বাচান” ও মাদক কে না বলুন। আমাদের এই অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যপক বনাঞ্চল উজাড় হচ্ছে। নানান কারনে পরিবেশ ও যুবসমাজ আজ মারাত্বক হুমকির মুখে। অথচ আমরা একটু সচেতন হলেই এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারি।

আমরা শুধু ভ্রমন পিয়াসী নই। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য। সাইকেল এমনই একটি বাহন যাতে এক প্রকার কোন খরচই নেই। নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীর সচল থাকে, অনেকাংশে রোগমুক্ত থাকা যায়, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয়ভার কমানো যায়, সর্বোপরি পরিবেশ দূষনের কোন সম্ভাবনাই নেই। সাইকেল চালালে মাদক থেকে দুরে থাকা যায়। মাদক বর্তমান সমায়ে আমাদের যুব সমাজ কে ধংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। সাইকেল চালালে পরিবেশের কোন খতি হয়না শব্দ দূষনের কোন সম্ভবনা নেই। হাইড্রলিক হর্ণ ও শব্দ দূষণের ফলে আমাদের মারাত্তক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেদেশ বধিরতা,মানুষিক ও ছিনায়ুবিক রোগে আর্কান্ত হচ্ছে কটি কটি মানুষ। ‘সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি শব্দ দূষণের কবলে রয়েছে রাজধানীসহ সারাদেশ। বর্তমানে শব্দ দূষণ একটি মারাত্মক পরিবেশগত সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। বিশেষ করে শব্দ দূষণের কারণে নতুন প্রজন্ম মানসিক ও শারীরিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শব্দ দূষণের কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস, বধিরতা, হৃদরোগ, খিটখিটে মেজাজ, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বিঘিœত হওয়া, ঘুমের ব্যাঘাতসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এ বিষয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।’ আমরা চাই বর্তমান সরকার এর সাথে হাত মিলিয়ে মাদক ও শব্দ দূষণ মুক্ত দেশ গড়তে। এবার আমরা বাংলাদেশদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুরুকরে ইন্ডিয়ার কলকাতা রবীন্দ্রভারতীও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সাইকেলে প্রচারনার মধ্য দিয়ে পরিবেশ ও শব্দ দূষণ রক্ষা এবং যুব সমাজকে অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে মাদক কে না বলুন, বিষয়ে ব্যপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে চলেছি। আমাদের এই অভিযাত্রায় পৃষ্ঠপোষকতা করতে এপেক্স বাংলাদেশ আমাদের সাথে থাকবে ইনশাল­াহ।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *