January 19, 2025
আঞ্চলিকবিজ্ঞপ্তিলেটেস্ট

সাংবাদিক তৈয়ব মুন্সির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আওয়ামী লীগের

খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেককে জড়িয়ে এনটিভি’র সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সি যে অসত্য, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যে প্রনোদিত দালিলিক প্রমান ছাড়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ব্যক্তি আক্রোশে সংবাদ দিয়েছেন। সংবাদের মধ্যে কোন তথ্যই সত্য নয় বলে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
আবু তৈয়ব মুন্সি তার ব্যক্তিগত আইডিতে বলেছেন, “বন্ড লাইসেন্স ম্যানেজিং ডাইরেক্টর খুলনা সিটি মেয়র? শুল্ক ফাঁকির জন্য আড়াই কোটি টাকার অর্থদন্ড, ৫ কোটি টাকা ৫৩ লাখ টাকা দাবিনামা। বন্ড লাইসেন্স বাতিল।” যা পুরোটাই মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি ফেসবুকে এই মিথ্যা সংবাদ দিয়ে তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেককে নিয়ে যে সংবাদ তার আইডিতে প্রকাশিত হয়েছে সেটা শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত আক্রোশ, এখানে সাংবাদিকতার লেশমাত্র দেখা যায়নি। কারন সাংবাদিক হিসেবে কোন সংবাদ লিখলে তার জবাবদিহিতা থাকে। সেখানে কোন মিথ্যা, ব্যক্তি আক্রোশ বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত তথ্য থাকে না। যা তার ব্যক্তিগত আইডিতে প্রকাশ করা হয়েছে। এটি পরিপূর্ণ সাংবাদিকতা ইথিক্সের পরিপন্থী। প্রকৃত পক্ষে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ২০১৭ সালের পূর্বে এই কোম্পানির সাথে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের শেষের দিকে কোম্পনীর মিটিং করে তিনি ওই সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করার সময় তার হলফনামায় সকল ঘটনা তুলে ধরেছেন। যা খুলনার সকল সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদরা জানেন। কারন এই ঘটনা নিয়ে ২০১৮ সালে সিটি নির্বাচনে বিএনপি সিটি মেয়রের নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন। সেই আপিলে বিএনপি তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমান করতে না পারায় সেটি খারিজ হয়ে যায়। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সি যে সংবাদ করেছেন সেটি ব্যক্তিগত আক্রোশের বর্হি:প্রকাশ মাত্র। আমরা এই সংবাদের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও এই মিথ্যা, উদ্দেশ্যেমূলক ভিত্তিহীন সংবাদ করে দক্ষিণাঞ্চলের গ্রহণযোগ্য বর্ষিয়ান নেতা, কর্মবীর তালুকদার আব্দুল খালেকের সম্মান ক্ষুন্ন করায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
নেতৃবৃন্দ এ ধরনের হলুদ সাংবাদিকতা থেকে বিরত থাকার জন্য সাংবাদিকসহ সকল গণমাধ্যমের কর্মী ও সোশাল মিডিয়ার সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *