সাংবাদিকরা শূন্য হাতে ফিরে যাবে, এটা হয় না
সাংবাদিকদের জন্য বিমার ব্যবস্থা চালুর অনুরোধ জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন সাংবাদিক এত বছর চাকরি করার পর শূন্য হাতে ফেরত যাবে-এটি কখনও হয় না, এটি হওয়া উচিত নয়। কারণ যারা সাংবাদিকতা করে তারা মেধা ও যোগ্যতায় অনেকের চেয়ে ভালো। কিন্তু তাদের চাকরিতে যে পাওনা কিংবা চাকরির শেষে যে পাওনা, সেটি অনেকের থেকে কম। সেটি হওয়া অনুচিত।
এ সময় বিএফইউজের নবনির্বাচিত সভাপতি ওমর ফারুক, সহসভাপতি মধুসূদন মণ্ডল, মহাসচিব দীপ আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, কোষাদক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, দপ্তর সম্পাদক সেবিকা রাণী, কার্যনির্বাহী সদস্য ড. উত্তম কুমার সরকার, শেখ নাজমুল হক সৈকত উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, গত এক দশকে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে, পাশাপাশি সাংবাদিকদের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে দৈনিক পত্রিকা ৪৫০ বা তারও বেশি, টেলিভিশন চ্যানেল ১০টা থেকে ৩৪টা ও অনলাইনসহ গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যাও দেখা দিয়েছে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোকে আমার নিজের সমস্যা মনে করে সমাধানের চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, করোনাকালে যে সহায়তা, উপমহাদেশে আমাদের দেশের মতো করে করা হয়নি। আপনারা জানেন বাংলাদেশে ক্লিনফিড বাস্তায়ন হয়েছে। সব টেলিভিশন চ্যানেল এ থেকে উপকৃত হচ্ছে। এ সময় টেলিভিশন থেকে চাকরিচ্যুত হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। করোনাকালে অতীতে যারা চাকরিচ্যুত হয়েছে, এখন করোনা চলে গেছে। এখন ব্যবসা বাণিজ্যে যেসব সুবাতাস বইতে শুরু করেছে, গণমাধ্যমেও করোনাকালে যে সংকটগুলো ছিল, সেগুলো এখন আর নেই। অনেকটাই দূরীভূত হয়েছে। আমি আশা করব, করোনাকালে যাদের চাকরি চলে গেছে, তারা আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হবেন।
গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুব চেষ্টা করা হচ্ছে আগামী সংসদে গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে যাওয়ার জন্য। সম্প্রচার আইন নিয়েও কাজ চলছে, সেটি অনেক দূর এগিয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের নানা ধরনের সমস্যা আছে, আমি আশা করবো আপনাদের নেতৃত্বে কিছু কিছু জিনিস ইন হাউস করা সম্ভব। প্রত্যেকটা হাউস যদি সেটা টেলিভিশন, পত্রিকা বা অনলাইন যাই হোক সেখানে সব সাংবাদিকদের জন্য বিমার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে একটি সুরক্ষা হয়। এটি কিন্তু ওয়েজবোর্ডেও বলা আছে। এটি বাস্তাবায়ন করতে খুব বেশি অসুবিধা তা কিন্তু নয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করব এই ব্যবস্থা করতে। আপনারাও যদি মালিকপক্ষকে বলেন এতে প্রতিটা সাংবাদিকসহ অন্য যারা আছেন, তারাও উপকৃত হবে।