সর্বাধিক কোভিড-১৯ রোগী ঢাকা বিভাগে, সবচেয়ে কম খুলনায়
কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বাংলাদেশের ৫৮টি জেলায়; এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে, সবচেয়ে কম আক্রান্ত খুলনায়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২০ জন হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৭২ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা শহর এবং ঢাকা বিভাগের চার জেলায়ই রোগী বেশি বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, “শতকরা হিসেবে মোট আক্রান্তের বেশিরভাগই ঢাকা বিভাগের। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক ঢাকা শহরে, বাকি অর্ধেক নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা মিলিয়ে।”
ডা. নাসিমা বলেন, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫০৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জ জেলায়। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৬৪ জন, বাকিরা বিভিন্ন উপজেলায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৫ জন, সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন।
সংবাদ বুলেটিনে কোন জেলায় কত আক্রান্ত তার বিস্তারিত জানানো হয়নি। তা জানতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইট দেখতে বলেন ডা. নাসিমা।
আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯, সিলেট বিভাগের ৪, রংপুর বিভাগের ৮, খুলনা বিভাগের ৮, ময়মনসিংহ বিভাগের ৪, বরিশাল বিভাগের ৫ এবং রাজশাহী বিভাগের ৭টি জেলায় কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে।
এখনও রোগী শনাক্ত হয়নি রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ভোলা, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নাটোর জেলায়।
আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫১০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২২৯ জন ঢাকা শহরের।
ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ বাদে গাজীপুরে ২৬৯ জন, কিশোরগঞ্জে ১৪৬ জন, নরসিংদীতে ১৩৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪২, সিলেটে ২০, রংপুরে ৬০, খুলনায় ২৪, ময়মনসিংহে ১৩২, বরিশালে ৭০ এবং রাজশাহী বিভাগে ২৫ জন রোগী পাওয়া গেছে।
দেশে মোট আক্রান্তের ৮৩ শতাংশই ঢাকা বিভাগের। এর মধ্যে ৪১ শতাংশ ঢাকার, ৪২ শতাংশ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার।
সবচেয়ে কম শুন্য দশমিক ৭১ শতাংশ রোগী খুলনা বিভাগে শনাক্ত হয়েছে। এই বিভাগের বাগেরহাট ও মাগুরায় মাত্র ১ জন করে রোগী পাওয়া গেছে।
সুনামগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায়ও এই নাগাদ একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ৬৮ শতাংশ পুরুষ, ৩২ শতাংশ নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১০ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৩ জন নারী।
বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের বয়সসীমার ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি ২৪ শতাংশ। এছাড়া ২২ শতাংশের বয়সসীমা ৩১-৪০ বছর, ১৮ শতাংশের বয়স ৪১-৫০ বছর, ১৫ শতাংশের বয়স ৫১-৬০ বছর এবং ১০ শতাংশের বয় ষাটের বেশি। বয়স ১০ বছরের কম এমন আক্রান্তের সংখ্যা ৩ শতাংশ। ৮ শতাংশের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।