November 25, 2024
করোনালাইফস্টাইল

‘সর্দি-কাশির মতো করোনা ছড়াতে পারে শিশুরা’

সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই শিশুরা নভেল করোনাভাইরাসও সহজেই ছড়িয়ে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের সাবেক অধ্যাপক উইলিয়াম হ্যাসেলটাইন এমন মন্তব্য করেছেন।

সিএনএনের অ্যান্ডারসন কুপারকে হার্ভার্ডের এই অধ্যাপক বলেন, এটা সন্দেহ করার কারণ আছে যে, নভেল করোনাভাইরাস মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। এমনকি সংক্রমণের ক্ষেত্রেও এটি সাধারণ ভাইরাসের মতো কিছুটা আচরণ করতে পারে। সাধারণ সর্দি-কাশি কারা ছড়ায়? শিশুরা ছড়ায়।

তিনি বলেন, সর্দি-কাশিসহ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাজনিত প্রায় সব ধরনের রোগ করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট। করোনাভাইরাসের গোত্রের একটি হলো কোভিড-১৯। সাধারণ ভাইরাসের মতো নাসারন্ধ্র ব্যবহার করে এটি মানবদেহে প্রবেশ করে। এটা সাধারণ ভাইরাসের মতোই শুরু হতে পারে। যা মানুষকে মেরে ফেলতেও সক্ষম।

শিশুরাও এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন এবং অন্যদের মাঝে সংক্রমণ ঘটাতে পারেন বলে সতর্ক করে দেন হ্যাসেলটাইন। তিনি বলেন, এ জন্য শিশুদেরও মাস্ক পরা উচিত। পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বের শিশুরা অন্যদের মাঝে উচ্চহারে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

হার্ভার্ডের এই অধ্যাপক বলেন, দেখা যাচ্ছে- অন্যদের চেয়ে শিশুদের নাকে হাজার গুণ বেশি ভাইরাস রয়েছে। এ কারণে তারা অত্যন্ত সংক্রামক।

এদিকে, নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গত জুলাই মাসের শেষ দুই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ৯৭ হাজারের বেশি শিশু নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স এবং চিলড্রেন্স হসপিটাল এসোসিয়েশন যৌথভাবে এই গবেষণা পরিচালনা করে।

এতে দেখা যায়, জুলাইয়ের শেষ দুই সপ্তাহে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য এবং শহরে শিশুদের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তা বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে এবং মারা গেছেন ৭ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি মানুষ।

বিশ্বজুড়ে করোনার তাণ্ডব চললেও এখন পর্যন্ত এর কোনও ভ্যাকসিন কিংবা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের তৈরি অন্তত দুই শতাধিক ভ্যাকসিন পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপে রয়েছে। তবে এর মধ্যে অন্তত ২৪টি মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে পৌঁঁছেছে।

চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের দিকে করোনার যেকোনও একটি পাওয়া যেতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রত্যাশা করছেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *