সরাসরি ধান কিনে কৃষক বাঁচানোর দাবি খুলনা বিএনপির
কৃষক বাঁচাতে ধানের দাম পুনঃনির্ধারণ এবং সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের দাবি জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্ত ধানের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোর পরিবর্তে তাদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। ধান চাষ, সার-কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিস্কার করা, সেচ দেওয়া এবং সবশেষে ধান কাটার জন্য দিনমজুর সংগ্রহ করতে গিয়ে কৃষকের মণ প্রতি ব্যয় হচ্ছে হাজার টাকার উর্ধ্বে। অথচ সেই ধান পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে হচ্ছে পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ টাকা দরে। সরকার প্রতি মণ ধানের দাম বেঁধে দিয়েছেন এক হাজার ৪০ টাকা। কিন্ত এই ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে মিল মালিকদের কাছ থেকে। অর্থাৎ লাভ হচ্ছে মিল মালিক ও মধ্যসত্বভোগীদের। অথচ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, শত কষ্ট ক্লেষ স্বীকার করে মাঠে সোনার ফসল ফলাচ্ছেন যে কৃষক, লোকসানের বোঝা টেনে হতদরিদ্র হতে হচ্ছে তাকে। গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ক্ষোভে কৃষক খেতের ধান আগুণে পুড়িয়ে দিচ্ছে। কেউ আবার ধান না কেটে মাঠেই ফেলে রাখছে। এ পরিস্থিতিতে কৃষককে বাঁচাতে ধানের দাম পুনঃনির্ধারণ এবং তা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহের দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।