সরকার সচেতনতা বৃদ্ধি করে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চায় : ডিআইজি
দ: প্রতিবেদক
মানুষের জন্য আইন, আইনের জন্য মানুষ নয়। জরিমানা আদায় করে সরকার বড়লোক হতে চায় না বরং সচেতনতা বৃদ্ধি করে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চায়। নতুন পরিবহন আইন নিয়ে ভুল বোঝার কোন কারণ নেই। কোন আইনই অকল্যাণের জন্য নয়। ট্রাফিক সচেতনতা সপ্তাহ ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অল্প সময়ে জরিমানার অর্থ পরিশোধ পদ্ধতির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন এসব কথা বলেন। বাগেরহাট জেলার কাটাখালি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয় আজ (সোমবার) এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ডিআইজি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মোটরযানের চালক, হেলপার ও মালিক। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টির ফলে পুলিশের সাথে নগদ টাকার লেনদেন হবে না। এরফলে দুর্নীতির সুযোগ কমবে। যে স্থানে জরিমানা করা হবে তার পাশর্^বর্তী স্থান হতে পজ মেশিনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক রশিদ গ্রহণ করে জরিমানা প্রদান করা যাবে । ফলে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)’র মাধ্যমে সহজে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা চালু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। মোটরযান আইনে আরোপিত জরিমানা প্রদানে ব্যক্তিকে আর ব্যাংক কিংবা ট্রাফিক অফিসে যেতে হবে না। ইউসিবি ব্যাংকের পজ মেশিন অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে জরিমানার অর্থ প্রদান করা যাবে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাগেরহাটের জেলাপ্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ানের সভাপতি কাজী নুরুল ইসলাম বেবী, গ্রামীণফোনের হেড অফ কর্পোরেট বিজনেস মোঃ নাসার ইউসুফ, খুলনা প্রেসক্লাবে সভাপতি এসএম হাবিব, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি আহাদ উদ্দিন হায়দার, ইউসিবি ব্যাংকের এসইভিপি এন্ড হেড অব এমএফএস ডিভিশন এটিএম তাহমিদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের আব্দুর রহমান বক্স দুদু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন্স এন্ড ক্রাইম) একেএম নাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে জরিমানা আরোপ ও জরিমানার অর্থ আদায় পদ্ধতি চালু করতে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ এবং ইউসিবি ব্যাংক ও গ্রামীণফোনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।