সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলে দর্শকশূন্য মাঠেই হবে বিপিএল!
হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। প্রতিদিনই আক্রান্তের হার বেড়েই চলছে। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখে সতর্ক সাবধানী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকার। যার ফলে আজ সোমবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে আরোপ করা হবে কঠোর বিধি-নিষেধ। সুতরাং খোলা জায়গায় সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একই সঙ্গে।
সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হয় এ বিশেষ প্রজ্ঞাপন। অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব রকম সমাবেশ নিষিদ্ধ। এই প্রজ্ঞাপন জারি করা দেখে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, তাহলে বিপিএলে কী হবে?
মাঝে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজে দর্শক ছিল মাঠে এবং গ্যালারির অর্ধেক আসনে বসেই দর্শকরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সিরিজের খেলা প্রত্যক্ষ করেছেন।
কথা ছিল বিপিএলে স্টেডিয়ামের ৫০ শতাংশ আসনে নয়, বরং শতভাগ আসন উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছিল, শেরে বাংলা, জহুর আহমেদ চৌধুরী আর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম হবে কানায় কানায় দর্শকে পরিপূর্ণ।
কিন্তু এখন যে খোলা আকাশের নিচে সব রকম জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো, তাহলে বিপিএলে দর্শকের মাঠে গিয়ে খেলা দেখার কী হবে? সরকারি নির্দেশ তো আর ভাঙা যাবে না? বিসিবি তথা বিপিএল কর্তৃপক্ষ কী ভাবছে?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের নির্দেশ অমান্য করার প্রশ্নই আসে না। খোলা আকাশের নিচে সব রকম জনসমাগম বন্ধ থাকলে বিপিএলে দর্শক মাঠে আসতে দেওয়া হবে না। সবাইকে ঘরে বসে টিভিতে খেলা দেখতে হবে।
বিপিএল আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক আজ সোমবার রাতে জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা ছিল ডাবল ভ্যাকসিন যাদের নেয়া আছে, তারা যাতে মাঠে গিয়ে বিপিএল খেলা দেখতে পারে; কিন্তু এখন যেহেতু সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলে এসেছে, তাই এ অবস্থায় দর্শক উপস্থিতিতে খেলা চালানোর প্রশ্নই আসে না। সরকারি নির্দেশ মেনেই খেলা চালানো হবে।‘
এর মানে হলো, সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলে বিপিএলে মাঠে গিয়ে খেলা দেখা হবে না ক্রিকেট অনুরাগীদের। আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বিপিএলের এবারের আসর।