সরকারি নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চ বন্ধই থাকবে: বিআইডব্লিউটিএ
সরকারি নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত চলমান বিধিনিষেধে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক। শনিবার (২২ মে) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এদিকে আগামী ২৪ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো লঞ্চ চলাচলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা। শনিবার বেলা ১১টায় সদরঘাটে সংগঠনটির এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ৬টি দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল। তাদের ছয়দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে – লঞ্চ চলাচলের পাশাপাশি প্রণোদনার অর্থ দ্রুত মালিকদের কাছে বণ্টন করা, অগ্রিম প্রদত্ত ছয় মাসের ট্যাক্স আনুপাতিক হারে মওকুফ করা, বিআইডব্লিউটিএ’র বিভিন্ন চার্জ ৬ মাসের জন্য মওকুফ করা, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ৬ মাসের সার্ভে ফি মওকুফ করা এবং ব্যাংক ঋণের সুদ ৬ মাসের জন্য মওকুফ করা।
বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘দীর্ঘদিন নৌযান বন্ধ থাকায় সবদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রমিকরা। অথচ গার্মেন্টস, দোকানপাট খুলে দেয়া হয়েছে। সবচাইতে বড় কথা হলো- যে স্বাস্থ্যবিধির কারণে লকডাউন দেয়া হয়েছে কোথাও সেই স্বাস্থ্যবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে কেন লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে? অবিলম্বে লঞ্চ চলাচল শুরু করতে হবে।’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সারাদেশে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। ৪ দফা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়, যা আগামী ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে।
চলমান এই বিধিনিষেধে বাস সার্ভিস, লঞ্চ, বিমান ও রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে অর্ধেক আসন খালি রেখে সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস ও অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু করা হয়, যা এখনো চলমান রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি আন্তর্জাতিক রুটেও ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।