সরকারি খরচে আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে দরিদ্রদের
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক : দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত ও বিচার পেতে অসমর্থ প্রান্তিক পর্যায়ের বিচারপ্রার্থী ও শ্রমজীবী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এ ক্ষেত্রে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার তত্ত্বাবধানে সরকার গঠিত কমিটি লিগ্যাল এইড অফিস কাজ করছে বলে জানান তিনি।
সোমবার (১১ মার্চ) ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা জানান আইনমন্ত্রী।
লিখিত উত্তরে আসিনুল হক বলেন, এ জন্য সরকারি খরচে আইনগত পরামর্শ প্রদান, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ, বিনামূল্যে ওকালতনামা সরবরাহ, মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগ, আইনজীবীর ফি পরিশোধ, সালিশকারীর সম্মানী পরিশোধ, আদেশের অনুলিপি সরবরাহ, ডিএনএ টেস্টের ব্যয় পরিশোধ এবং পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যয়সহ প্রাসঙ্গিক সকল ব্যয় পরিশোধ করা হয়।
আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে প্রণীত ৩৭৮টি আইন চালু আছে। আইনগুলো সংবিধানের ১৪৯ অনুচ্ছেদ দ্বারা হেফাজত করা হয়। এরপর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ ল’স (রিভিশন অ্যাণ্ড ডিক্লারেশন) প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার পূর্ব আইনগুলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও অভিযোজনপূর্বক বহাল রাখা হয়েছে। স্বাধীন আইন কমিশন আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী ও নতুন আইন প্রণয়নের জন্য সুপারিশ করে থাকে। উক্ত সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন আইন আধুনিকায়ন ও বাস্তবমুখী করার জন্য সংশোধন ও প্রণয়ন করা হয়। এক্ষেত্রে আইন কমিশন উক্ত আইনগুলো বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নের সুপারিশ করলে সরকার তা যাচাই সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
আওয়ামী লীগের সদস্য শামসুল হক টুকু ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য নাসরিন জাহান রতœার প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী জানান, মামলা জট কমাতে ও বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে বিচার কাজ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এজলাস সঙ্কট নিরসনে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরো জানান, মামলা দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অন্যতম একটি প্রতিবন্ধকতা হলো এজলাস সঙ্কট। এজলাস স্বল্পতা দূর করে সর্বোচ্চ কর্মঘণ্টা ব্যবহার করে বিচার কাজে গতিশীলতা আনয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এজলাস সঙ্কট নিরসনের পাশাপাশি সরকার বর্তমানে মামলা ব্যবস্থাপনার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে।