November 28, 2024
খেলাধুলা

সমর্থকদের শান্ত থাকতে বললেন মাশরাফি

ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশের সেমিফাইনাল স্বপ্ন এমনিতেই নড়বড়ে অবস্থায় আছে। বিশেষ করে সর্বশেষ ইংল্যান্ডের কাছে ভারত হেরে যাওয়ায় প্রচণ্ড চাপে আছে টাইগাররা। ফলে পরের দুই ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনালে খেলা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য ‘ডু অর ডাই’র চেয়েও বেশি কিছু।

ইংলিশদের কাছে ভারতের হারে বাংলাদেশের সমর্থকদের একটা বড় অংশ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হতাশ প্রকাশ করেছেন। অনেকে এটিকে ‘পাতানো ম্যাচ’ বলেও আখ্যা দিচ্ছেন। ফলে মঙ্গলবারের (০২ জুলাই) ম্যাচটি ঘিরে টাইগার সমর্থকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। এটা তাই আর দশটা ম্যাচের মতো হবে না তা নিশ্চিত। এই ম্যাচে হেরে যাওয়া মানে যে দলটিকে টাইগারভক্তরা এখন ‘ঘৃণা করতে ভালোবাসে’ সেই দলের কাছে হার।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের সমর্থকদের প্রত্যাশা অনেক। এই ম্যাচ ঘিরে এরইমধ্যে সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে বলাবলি হচ্ছে, ভারতীয় সমর্থকদের উপস্থিতি কমাতে নাকি চড়া দামে টিকিট কিনছেন টাইগারসমর্থকদের একটা অংশ। এমনিতে ভারতের ম্যাচগুলোতে তাদের সমর্থকদের উপস্থিতি থাকে অনেক বেশি। এবার বাংলাদেশ ম্যাচকে সামনে রেখে নাকি এজবাস্টনের উদ্দেশে মিছিলের ডাক দিয়েছে ভারতীয় সমর্থকদের একাংশ। সমর্থকদের এমন অতি উৎসাহ নিয়ে সাবধান মাশরাফি আগেভাগেই শান্ত থাকার আহবান জানালেন।

বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে ক্রিকইনফো এ নিয়ে মাশরাফির বক্তব্য তুলে ধরেছে। মাশরাফি বলেন, ‘উত্তেজনা থাকবেই কিন্তু এটা যদি সীমা ছাড়িয়ে যায় কিংবা কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয় তবে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।’

‘আমরা যতই চাই না কেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অসম্মান করা কিংবা ট্রল করা খেলোয়াড়দের পক্ষে উপেক্ষা করা কঠিন। ক্রিকেটাররাও মানুষ। এটা দুটি দেশের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে এবং এটা আমাদের দেশ নিয়ে কোনো ইতিবাচক বার্তাও দেয় না।’

‘দুই দলই জেতার জন্য খেলবে। সমর্থকদের অবশ্যই আমাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত কিন্তু এটা খারাপ অর্থে কিছুতেই নয়। আমাদের মাথায় রাখা উচিত যেন আমরা আমাদের দেশকে ছোট না করি।’

সমর্থকদের অবস্থা যাই হোক না কেন, দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই উত্তেজনা স্পর্শ করেনি। বরং বার্মিংহামে যে টিম হোটেলে দুই দল অবস্থান করছে সেখানে তাদের মধ্যে বেশ হাসিখুশি ভাব দেখা গেছে। মাশরাফির সঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও হার্দিক পান্ডিয়া এবং তামিম ইকবালের সঙ্গে লোকেশ রাহুল সময় কাটিয়েছেন।

তবে খেলোয়াড়দের ভালো সম্পর্ক সমর্থকদের খুব কমই প্রভাবিত করে। বিশেষ করে ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার ঘটনা বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে। সেসময় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বিস্তার লাভ করায় খুব সহজেই তা টাইগারভক্তদের ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখা দেয়।

এছাড়া ভারতকে বহুবার আতিথ্য দেওয়া সত্তে¡ও ভারত নিজেদের মাটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র এক টেস্টের আতিথ্য দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ বিরাজ করছে বহুদিন থেকেই। তবে ক্ষোভ প্রকাশের ধরন ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে, এটাই সমস্যা। গালাগালি, হুমকি, ট্রল এসব এখন নিত্য দেখা যায়। এজন্যই টাইগার দলপতি সমর্থকদের শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩-৩০ মিনিটে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *