সব বিভাগে বৃষ্টি, দুদিন পর আরও বাড়তে পারে
লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাব কেটেছে, কমেছে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা। তাই বৃষ্টির প্রবণতাও কমে গেছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় আট বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। একই সঙ্গে আগামী দুদিন পর বৃষ্টির প্রবণতা ফের বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর প্রদেশ ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক।
তিনি বলেন, ‘এই সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।’
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সন্দ্বীপে, সেখানে ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ। এ সময়ে ঢাকায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অপরদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকায় প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।