সপ্তাহজুড়েই ঝড়-বৃষ্টির আভাস
বিগত দুই দিনের মতো আগামী সপ্তাহজুড়েই কালবৈশাখী ও বজ্রঝড় হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
মাঝবৈশাখে পূবালী ও পশ্চিমা লঘুচাপের সংমিশ্রণ থাকায় দিনের যে কোনো সময় ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানান জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মংলায় ৮১ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির মধ্যে সাইকেল চালিয়ে সাইন্সল্যাব এলাকা দিয়ে ফিরছেন একজন। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
আগের দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আধ ঘণ্টায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরেও স্বল্প সময়ে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ঝড়ো হাওয়ার সময় আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা।আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টির আভাস রয়েছে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ পুরোটাই দিনের বিভিন্ন সময় এমন ঝড়-বৃষ্টি থাকবে। ২৭-২৮ এপ্রিলের পর বৃষ্টি কমতে পারে।”
তিনি বলেন, মাঝবৈশাখে এমন বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক। সর্বশেষ ২০১৭ সালের এপ্রিলে ভারী বর্ষণ হয়েছিল । ২০১৮ সালে উত্তর পূর্বাঞ্চলে হয়েছিল আকস্মিক বন্যা।
এবারও উজানের ভারী বর্ষণের শঙ্কায় উত্তর পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম-মেঘালয়-ত্রিপুরা-বরাক অববাহিকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এতে সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াই নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে।
ঢাকার শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই থেমে থেমে হচ্ছিল বৃষ্টি; মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সারাদিনই ছিল গুমোট ভাব। অন্য সব দিনে হাতিরঝিলে থাকে মানুষের ভিড়; কিন্তু করোনাভাইরাস সঙ্কটের কারণে শূন্য এখন হাতিরঝিল। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উজানের বৃষ্টিপাত বাড়লে আকস্মিক বন্যার শঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে হাওর এলাকায় ধান কাটার কাজও দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বিজলী চমকানো এবং অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আগামী পাঁচ দিন ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।