সন্ধ্যা নাগাদ হাতিয়া-দীঘায় আঘাত হানবে আম্পান
তীব্রতা কিছুটা কমে সুপার সাইক্লোন আম্পান ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ রূপ নিয়েছে। বুধবার (২০ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ ভারী বর্ষণ ও টানা ঝড়ো বাতাসসহ ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশের হাতিয়া ও পশ্চিমবঙ্গের দীঘায় আম্পান আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্ভাবাসে জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে থাকবে জলোচ্ছ্বাস।
বুধবার (২০ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, আম্পান ভারতীয় সমুদ্র উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর প্রভাবে এরই মাঝে উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় ঝর বাতাস ও ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৩ লাখেরও মানুষকে নিরাপদ আস্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। করোনার হুমকির মধ্যে এ ঘূর্ণিঝড় আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে গুরুতর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এর ভয়াবহতা প্রসঙ্গে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালন অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, আমরা ভয়ঙ্কর আর বহু মাত্রায় বিপজ্জনক এক সাইক্লোনের মুখোমুখী হতে যাচ্ছি। বিধ্বংসী ঝড়ো বাতাস নিয়ে আম্পান আঘাত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা, গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
১৯৯৯ সালের উড়িষ্যা ঘূর্ণিঝড়ের পর আম্পান সবচেয়ে ভয়াবহ সাইক্লোন। ঘূর্ণিঝড় ঘিরে যে কোনো ধরনের সহায়তা দিতে অতি সতর্ক অবস্থানে আছে ভারতীয় নৌবাহিনী।