সন্দেহ থেকে বন্ধুকে খুন, ছেলেকে নিয়ে লাশ গুম
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
স্ত্রীর প্রতি নজর দেওয়ার সন্দেহে ক্ষুব্ধ হয়ে নোয়াখালীর আব্দুর রবকে হত্যা করা হয় বলে পঞ্চগড়ের পুলিশ জানিয়েছে। পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, তিনজনকে আটকের পর তারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন।
আটককৃতরা হলেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তীরইহাট ইউনিয়নের যুগীগছ গ্রামের মো. মানিক (৪৮), স্ত্রী আফরোজা বেগম (৪৫) ও ছেলে আমান আলী (২১)। নিহত আব্দুর রব (৪৮) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার ল²ীনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ সুপার বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, আব্দুর রব তেঁতুলিয়ায় আসতেন মরিচ ও বাদাম কিনতে। তিনি মানিকের সঙ্গে ব্যবসা করতেন আর রাতে তার বাড়িতে থাকতেন।
মানিকের স্ত্রীর প্রতি আবদুর রব প্রণয়াসক্ত এমন সন্দেহ থেকে মানিক তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ১৭ অক্টোবর রাতে মানিক ও রব একই বিছানায় ঘুমান। রাত দেড়টার দিকে মানিক ঘুমন্ত রবের বুক ও পেটের মঝখানে ছুরি বসিয়ে দেন। রব জেগে উঠলে ছুরিটি মানিক তার গলায় বসিয়ে দেন।
পুলিশ সুপার বলেন, মানিক তার গলা কেটে মাথা আলাদা করে স্ত্রী ও ছেলেকে ডেকে তোলেন। পরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে লাশ ও খণ্ডিত মাথাটি ব্যাগে ভরে নিয়ে যান। প্রথমে দেহ ও পরে আরও দূরে নিয়ে খণ্ডিত মাথাটি ফেলে দেন। ঘটনার পরদিন দেহ আর আরও চার দিন পর মাথা উদ্ধার করে পুলিশ ঘটনা তদন্তে নামে।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনা তদন্তে নেমে তারা মানিকের স্ত্রী আফরোজাকে আটক করেন। আফরোজা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে মানিক ও ছেলে আমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও ঘটনার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।