সন্দেহের বশে বিশ্ব ব্যাংকের মনগড়া অভিযোগ : টাইগার আইটি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
স্মার্টকার্ড প্রকল্পের কাজ পেতে টাইগার আইটি ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল বলে যে অভিযোগ বিশ্ব ব্যাংক তুলেছে, তা উড়িয়ে দিয়ে উল্টো সংস্থাটিকেও দুষল বাংলাদেশি কোম্পানিটি। বিশ্ব ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞায় পড়া টাইগার আইটি দাবি করেছে, বিশ্ব ব্যাংক ‘অস্পষ্ট, অনির্দিষ্ট ও অনিশ্চিত’ তথ্যের উপরে ভিত্তি করে, সন্দেহের বশবর্তী হয়েছে ‘মনগড়া’ প্রতিবেদন দিয়েছে। তবে তাদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই কাজ করে তারা।
বাংলাদেশের স্মার্টকার্ড সরবরাহের কাজের জন্য নির্বাচিত হওয়া ফ্রান্সের অবার্থুর টেকনোলজিসের স্থানীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছিল টাইগার আইটি। এই প্রকল্পে অর্থায়নের কথা ছিল বিশ্ব ব্যাংকের।
তবে ফরাসি ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হওয়ার পর বিশ্ব ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়নে অনাগ্রহ দেখায়; এখন সরকারি অর্থায়নেই ১০ কোটি নাগরিককে স্মার্টকার্ড দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ফলে বাদ পড়েছে অবার্থুর ও টাইগার আইটি উভয়ই।
এরপর গত ২৪ এপ্রিল বিশ্ব ব্যাংকের বোর্ড সভায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে টাইগার আইটিকে সাড়ে ৯ বছর এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্তধারকে সাড়ে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ দেখিয়ে বিশ্ব ব্যাংক বলছে, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও ওই প্রকল্পের কাজ পেতে টাইগার আইটি বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের তদন্ত ঠেকানোর চেষ্টাসহ টাইগার আইটি সংশ্লিষ্টরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছিল বলেও অভিযোগ তোলে বিশ্ব ব্যাংক।