সন্তান লাভের আশায় গুরুদেবের শরণাপন্ন, ৩৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পলায়ন : আটক ৩
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় বিবাহের পর ১৫ বছর পরও কোন সন্তানাদি হওয়ায় কাকার পরামর্শে জনৈক গুরুদেবের শরণাপন্ন হয়ে নিজের ৩৫ ভরি স্বর্ণের গহনা হারিয়েছেন স্ত্রী মিলি হাজরা নামের এক স্কুল শিক্ষিকা। পরে তার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। আটকরা হলেন- বরিশালের উজিরপুরের দক্ষিণ ধামুরা এলাকার আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মোঃ ফারুক হাওলাদার (৪২), প্রফুল্ল হালদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম হৃদয় (৪৫) এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ী শুনীল কর্মকার (৩২)।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেএমপি জানায়, নগরীর বাগমারা মেইন রোড এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী দিপংকর সাহার স্ত্রী মিলি হাজরা বিবাহের পর ১৫ বছর পরও কোন সন্তানাদির মুখ দেখতে পারেননি। পরে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী তার কাকার পরামর্শে জনৈক গুরুদেবের সাথে যোগাযোগ করে। জনৈক গুরুদেব তাকে চিকিৎসার কথা বলে সন্তান লাভের প্রলোভন দেখিয়ে অত্যান্ত সু-কৌশলে তার ব্যবহৃত বিভিন্ন স্বর্ণালংকার নিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে দোলখোলা শীতলাবাড়ী মন্দিরে আসতে বলে। জনৈক গুরুদেবের কথামতো মন্দিরের সামনে আসলে তার কাছে থাকা স্বর্ণের বিভিন্ন অলংকার- ১০টি স্বর্ণের চেইন, ৩ জোড়া স্বর্ণের বালা, ৬টি স্বর্ণের আংটি, ৮ জোড়া কানের দুল, ১টি হাতের ব্যাসলেটসহ সর্বমোট ৩৫ ভরি, যার মূল্য ২৪ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার আসামীরা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে খুলনা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোহাম্মদ আবু সাঈদ (পিপিএম-সেবা) বরিশালের উজিরপুরের দক্ষিণ ধামুরা এলাকার আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মোঃ ফারুক হাওলাদার, প্রফুল্ল হালদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম হৃদয়কে আটক করে। এর আগে তাদেও কাছ থেকে স্বর্ণ কেনার অপরাধে শুনীল কর্মকার নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই দু’জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ২৫টি জাতীয় পরিচয়পত্র, আত্মসাতকৃত ৩৫ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৯৩ হাজার টাকা, ৫টি মোবাইল ফোন, ৪টি সিম কার্ড ও ১টি স্বর্ণ পরিমাপের যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়