সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ: কাদের
উন্নয়ন ও অর্জনের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরেই বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে এক নির্মোহ, নিবেদিত প্রাণ, দেশপ্রেমিক এবং স্বপ্নবান বিজ্ঞানী ৷ যাকে নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত গর্ববোধ করি, আর আইসিটি খাতের এ পরিবর্তনের নীরব স্থপতি সজীব ওয়াজেব জয়।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান ডিজিটাল প্রযুক্তি: পথিকৃৎ মুজিব হতে সজীব’ শীর্ষক ওয়েবিনারে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ আশা প্রকাশ করেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্যপদ নেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিমুখী অভিযাত্রা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ ৷ সততা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতার সঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবতায়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন।
মহামারি করোনায় যখন থমকে গেছে গেটা বিশ্ব তখন একের পর এক লকডাউনে স্থবির সরকারি সেবা আর ব্যবসা-বাণিজ্য উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন আমরা বুঝেছি ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে কী? করোনাকালে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা বাণিজ্যসহ প্রতিটি খাতে তথ্যপ্রযুক্তির যাদুকরী স্পষ্ট অনুভব করেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, করোনাজনিত ছন্দপতনের মধ্যেও ডিজিটাল সেবায় দেশের জনগণ পেয়ে যাচ্ছে গতিময় সেবা। কোনো কিছুই থেমে নেই, এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল সেবার আওতায়। ২০০৮ সালে নির্বাচনের ম্যানিফেস্টোতে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন ঘোষণা করা হয়েছিলো তখন মানুষ এ নিয়ে নানান ব্যঙ্গ করেছিলো, ব্যঙ্গাত্মক করে বলতো ডিজিটাল বাংলাদেশ আবার কী? আজ মাত্র একযুগের ব্যবধানে এদেশের মানুষকে বুঝাতে হয় না, মানুষ উল্টো বুঝিয়ে দিচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে কী? আমরা এখন নতুন বাংলাদেশের বাসিন্দা, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এখন পারমানবিক ও স্যাটেলাইট বিশ্বের সদস্য।
পিতার অর্জনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুস্পষ্ট অভিলক্ষ্যে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আর এ লক্ষ্য অর্জনের প্রভাবক হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। প্রযুক্তির বদলে যাওয়া হাওয়া যে জাতি ধরতে পেরেছে তারাই এগিয়েছে টেকসই উন্নয়নের গতিময় পথনকশা ধরে, আর এখানেই দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন ভবিষ্যত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ৷ যিনি ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘রোয়ারিং টাইগার’ হিসেবে।
বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারকে নিয়ে নানান মিথ্যাচার করছে কিন্তু, শেখ হাসিনার পুত্র -কন্যা নিজ নিজ যোগ্যতা ও অধিক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা হাওয়া ভবনের মতো বিকল্প কোথাও কোন ক্ষমতা কেন্দ্র বা সরকারের কোন কাজে হস্তক্ষেপ করে বাধা সৃষ্টি করেনি যা বিএনপির শাসনামলে ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরো সংযুক্ত ছিলেন উপকমিটির সদস্য সচিব ইন্জিনিয়ার আবদুস সবুর, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) উপাচার্য ড. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।
ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।