সকল কার্যক্রম চালু রেখে ৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলো শিক্ষক সমিতি। গত বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েট ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, হাসান আব্দুল কাইয়ুম, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান রাজ্জাক ও রিয়াজ খান নিলয়কে আজীবন বহিস্কারসহ ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ায় কুয়েট শিক্ষক সমিতি, কুয়েট প্রশাসন, গঠিত তদন্তকমিটির সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে তাদের চলমান একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধসহ সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। একাডেমিকসহ সকল কার্যক্রম চালু রেখে তাদের আরও ৩ দফা দাবি সংযুক্ত করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক সমিতির এক জরুরি সাধারণ সভা কুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ^াসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র কুমার সরকারের পরিচালনায় ১১৪ জন শিক্ষকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় এনে সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান কুয়েট শিক্ষক সমিতি। এছাড়া সভায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ছাত্রদেরকে চিহ্নিতকরণ পূর্বক শাস্তি প্রদান করার জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়া বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষর্থীকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দায়িত্বশীল ভূমিকাকে প্রশংসা জানান এবং তাদের পূর্বের সকল কর্মসূচি পত্যাহার পূর্বক একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কুয়েট শিক্ষক সমিতি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত শাস্তি সর্বদা বহাল রাখার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান। শিক্ষক সেলিম হোসেনের পরিবারকে বিশ^বিদ্যালয় হতে প্রচলিত বিধি অনুয়ায়ী প্রাপ্য নায্য অর্থনৈতিক সুবিধাসহ বিশ^বিদ্যালয় হতে অতিরিক্ত ১ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ বাবদ প্রদান করতে হবে। এছাড়া শিক্ষক সেলিম হোসেনের স্ত্রী সাবিনা খাতুনকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ^বিদ্যালয়ে চাকরি প্রদান করতে হবে। আইনি বিচারিক প্রক্রিয়া অতিদ্রæত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে বলেও জানান শিক্ষক সমিতি। এছাড়া শিক্ষক সেলিম হোসেনের মেয়েকে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর দুপুর ৩টার দিকে কুয়েটের ইইই শাখার প্রফেসর ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ড. মোঃ সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে সেলিম হোসেন কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়।