সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন দাবি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের পরিবর্তে সরাসরি নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু করা ও আসন সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, ‘জাতীয় সংসদে দলীয় মনোনয়নের মাধ্যমে নারীর প্রতিনিধিত্ব পোষা তোতা পাখির মতো। দলের শেখানো বুলির বাইরে বৃহত্তর নারীসমাজের পক্ষে কোনো কথাই তারা বলতে পারেন না। কিন্তু বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীসমাজের যথার্থ প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা অত্যন্ত আবশ্যক। যারা দেশের আপামর সাধারণ নারীর সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা বলবেন এবং জাতীয় উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ ও মাত্রা বৃদ্ধিতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৩৩ শতাংশে উন্নীত করা এবং সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালের ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করা হবে এবং সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১-তে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এসব প্রতিশ্র“তি উপেক্ষা করে সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের ব্যবস্থা আরও ২৫ বছর রাখার বিধান করা হয়েছে। যা নারীসমাজের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক।’
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর জাতীয় সংসদে কার্যকর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বর্তমান সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে হবে। মনোনয়ন প্রথা বাতিল করে জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশসহ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভায় আগত ৫৩টি জেলার ৪৬০জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।