January 20, 2025
আন্তর্জাতিককরোনা

সংক্রমণ বাড়ায় আবারও সামাজিক দূরত্ব জারি দ. কোরিয়ার

দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার সংক্রমণ নতুন করে বাড়ছে। সে কারণে দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্বের কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এর আগে শুধু রাজধানী সিউলেই সামাজিক দূরত্বের বিধি-নিষেধ জারি ছিল। ওই বিধি-নিষেধ এবার পুরো দেশেই বিস্তৃত হলো।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক নিউং হো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আরও ৩৩২ জন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩১৫ জনই সিউল মেট্রোপলিটন এলাকার। ওই এলাকাটি বেশ ঘনবসতিপূর্ণ। গত ১৬ আগস্ট সিউলে কঠোর সামাজিক দূরত্ব জারি করা হয়। সেখানকার সব বার, ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি যে কোনো খেলাধুলার ক্ষেত্রেও কিছু বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে।

বাড়ির ভেতরে সর্বোচ্চ ৫০ জন সমবেত হতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। অপরদিকে বাড়ির বাইরে সর্বোচ্চ একশ জন একত্র হতে পারবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক নিউং হো জানিয়েছেন, আগে রাজধানীতে এই বিধি-নিষেধ থাকলেও এখন সারাদেশেই তা জারি করা হয়েছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরেই দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

তবে গত কয়েক মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণ ছিল একেবারেই কম। দেশটি করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হওয়ায় দেশজুড়ে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বে কিছুটা শিথিলতা শুরু হয়।

বিধি-নিষেধ কমিয়ে আনার পর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সে কারণেই নতুন করে আবারও কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এখন পর্যন্ত ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই এই ভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে, মারা গেছে ৩০৯ জন।

ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৪ হাজার ১৬৯ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ২ হাজার ৫২৪। এর মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *