সংক্রমণের ‘চেইন ভাঙতে’ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন
রমজানের শুরু থেকে বাস্তবায়ন হওয়া লকডাউন আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ লকডাউন চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
আগের যে ১৩ দফা শর্ত ছিল তা চালু রেখেই এ লকডাউন বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল সভায় চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন তথ্য অধিদপ্তরে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার।
পরে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি লকডাউনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, সাইন্টিফিক্যালি ১৪ বা ১৫ দিন লকডাউন না হলে সংক্রমণের চেইনটা পুরোপুরি ভাঙা সম্ভব হয় না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন অব্যাহত থাকবে।
আগের লকডাউনে দেওয়া যেসব শর্ত তা মেনে বিধি-নিষেধ আরও সাতদিন বাড়ানো হলো বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি অনুমোদন দিলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, লকডাউন বাড়ানোর ব্যাপারে সন্ধ্যার দিকে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
ঈদের আগে এ লকডাউন শেষে ব্যবসায়ীদের জন্যও সুখবর আসতে পারে। তবে সেটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ ম্যানেজ করা আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা মনে করছি, আরও সাতদিন দিলে সংক্রমণটা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ব্যবসায়ীরা যাতে ঈদের ব্যবসা করতে পারে সেটা মাথায় রেথেই এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি কী হয় সেটা বিবেচনা করেই পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়। ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল সেই লকডাউন শেষ হওয়ার কথা।
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এর আগে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন ছিল। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর। ১৪ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন, দোকানপাট এবং এবং মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে লকডাউন দেওয়া হয়।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের আগে লকডাউন শিথিল করা হতে পারে। তবে তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।