শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ছিটকে গেলেন মাশরাফি ও সাইফ
ক্রীড়া ডেস্ক
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়ার সময় জেগেছিল শঙ্কা। পরে সেটাই সত্যিই হলো। শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ছিটকে গেলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। অনুশীলনের সময় পাওয়া পিঠের চোটের জন্য ছিটকে গেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনও। তাদের জায়গায় দলে ফিরেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা। আর অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানান, আগের জায়গায় চোট পাওয়ায় শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া হচ্ছে না মাশরাফির। ওর চোট গুরুতর। শ্রীলঙ্কায় যাওয়া হচ্ছে না। পিঠের চোটের জন্য শ্রীলঙ্কায় খেলা হবে না সাইফেরও। ওদের জায়গায় রেজা ও তাসকিনকে দলে নেওয়া হয়েছে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বোলিং অনুশীলনের সময় চোট পান মাশরাফি। অধিনায়ককে দেখার পর সাংবাদিকদের বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানান, একাধিক চোটে ভুগছেন মাশরাফি। আগের জায়গাতেই নতুন করে চোট পেয়েছেন এবার। তিনি এই মুহূর্তে ভালো অবস্থায় নেই। মাঠে ফিরতে ওর অন্তত তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগবে।
অনুশীলনে বোলিং করার সময় আয়ারল্যান্ড থেকে বয়ে বেড়ানো বাম পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান মাশরাফি। বোলিং অসমাপ্ত রেখে ফিজিওর সঙ্গে চলে যান ড্রেসিং রুমে। অধিনায়ককে দেখতে যান বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান আকরাম খান ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল। পরে মিনহাজুল নিশ্চিত করেন, শ্রীলঙ্কায় খেলা হবে না অধিনায়কের।
ক্যারিয়ারজুড়ে চোট অসংখ্যবার ভুগিয়েছে মাশরাফিকে। ২০১৪ সালে নেতৃত্ব পাওয়ার পর আর চোটের জন্য কোনো ম্যাচ মিস করেননি। দুই পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের সঙ্গে লড়াই করে খেলেছেন বিশ্বকাপে।
ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে বোলিংয়ে ছিলেন অনুজ্জ্বল। ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে। চোট দিল না সেই সুযোগ। রেজা ও তাসকিন আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে ছিলেন। সেখানে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তারা।
আগামী ২৬, ২৮ ও ৩১ জুলাই শ্রীলঙ্কায় তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। শনিবার দুপুরে দেশ ছাড়বে তারা। ২৩ জুলাই খেলবে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। ওয়ানডের বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, মাহমুদউলাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, তাসকিন আহমেদ, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার, ফরহাদ রেজা, মোসাদ্দেক হোসেন, তাইজুল ইসলাম, এনামুল হক।