শৈত্যপ্রবাহ আরও ২ দিন
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ অন্তত আরও দুই দিন চলবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
উত্তরী হিমেল হাওয়ার দাপটে রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলেও রয়েছে শীতের তীব্রতা। শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চূয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক শুক্রবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাপমাত্রা বৃহস্পতিবারের থেকে সামান্য বাড়লেও শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বিরাজমান এই আবহাওয়া আরও অন্তত দুদিন অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার আরও বাড়বে।
মেঘাচ্ছন্ন ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার আভাস তুলে ধরে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
রাজধানী জুড়ে বৃহস্পতিবার ছিল কনকনে শীত, সাথে ছিল কুয়াশা। বৃহস্পতিবার ভর দুপুরেও বুড়িগঙ্গা নদী ছিল কুয়াশার চাদরে ঢাকা। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
হাইওয়ে পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টি সীমা অনেকাংশে কমে আসছে। এর কারণে সামনের পথচারী ও বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।এ অবস্থায় বাস্ট্যান্ডে অবস্থানরত ও মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালকদের কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তায় ফগলাইট ব্যবহার ও গতিসীমা সীমিত রেখে বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কুয়াশার কারণে রাতে নদী পারাপারে ফেরী চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সাত ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায়।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা কম থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। থার্মোমিটারের পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর পারদ ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়।
পৌষের শুরুতে কুয়াশার চাদর ও শৈত্য প্রবাহকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তারা বলছে, উচ্চ চাপ বলয় ও উত্তর-পশ্চিমা শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ (জেড বায়ু) বেশি সক্রিয় থাকায় এবং কুয়াশা ও জলীয় বাষ্পে আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় শীতও তীব্র অনুভূত হচ্ছে। এ সময় কুয়াশাস্তর নিচে নেমে আসায় মেঘলা আবহাওয়াও বিরাজ করছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পৌষ মাসে এমন আবহাওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। ডিসেম্বরের শেষভাগে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ থাকবে।