শেষ হলো ৭৮ উপজেলায় প্রথম ধাপের ভোট
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বিএনপি জোটের পাশাপাশি বামপন্থি দলগুলোর বর্জনের মধ্য দিয়ে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৭৮টি উপজেলায় ভোট চলছে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে প্রথম ধাপের এই উপজেলাগুলোতে।
এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ইতোমধ্যে ২৮ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দলগুলো না এলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের প্রভাব খাটানোর ঘটনায় তিন উপজেলার ভোট আগেই স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কোথাও কোনো অনিয়ম হলেই ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন।
ভোট সামনে রেখে শনিবার নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, “যদি কোথাও কোনো রকম কোনো অনিয়ম দেখা যায় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সেই কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কমিশন সংশ্লিষ্টদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে একটি স্থানীয় নির্বাচন। প্রার্থীরা যথেষ্ট তৎপর থাকেন।
“তারা সেভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। আমরা মনে করি, উপজেলা নির্বাচনে উপস্থিতির হার অনেক বেশি হবে। এটা আমার ধারণা।”
এবার পাঁচ ধাপে দেশের ৪৯২টি উপজেলা পরিষদে ভোট হবে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে ৮৭টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।
তার মধ্যে আদালতের আদেশে তিনটি ও কমিশন তিনটি উপজেলার ভোট স্থগিত করে। এছাড়া তিনটি উপজেলার সব পদে একক প্রার্থী থাকায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না। ফলে রোববার ৭৮টি উপজেলায় ভোট হচ্ছে।
স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠার পর সম্প্রতি নয়জন সাংসদকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাতেও কাজ না হওয়ায় শুক্রবার তিন উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, “কমিশন মনে করেছেন যে, এখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন এ পর্যায়ে সম্ভব নয়। পরবর্তীতে এ উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হবে। কমিশন সন্তুষ্ট হয়েছেন যে, এই নির্বাচন বন্ধ করা প্রয়োজন।”