শেখ হাসিনা মেডিক্যালে দুর্নীতি, দুদকে দুই মামলা
হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে কেনাকাটায় দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেডিক্যাল কলেজটির অধ্যক্ষসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সংস্থাটি।
রোববার (১৬ আগস্ট) দায়ের করা মামলাগুলোতে বাদী হয়েছেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান ও মো. ফেরদৌস রহমান। সংস্থার গণসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য মামলা দায়েরের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।
দুই মামলায় আসামী করা হয় কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. মো. আবু সুফিয়ান ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলী এবং পুনম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী এসএম নজরুল ইসলাম নতুনকে।
একটি মামলার এজাহারে বলা হয়- অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী কাকলী একে অপরের যোগসাজশে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে উচ্চমূল্য দেখিয়ে বইপত্র ক্রয় করে সরকারের ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
অপর মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে- পুনম ট্রেড ইন্টারন্যশনালের সত্ত্বাধিকারী নতুন ও অধ্যক্ষ সুফিয়ান মিলে উচ্চমূল্যে যন্ত্রপাতি ক্রয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন সরকারের ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
কয়েক মাস পূর্বে হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের বইপত্র ও মালামাল ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে প্রতিষ্ঠানটিতে। ভ্যাট ও আয়কর খাতে সরকারি কোষাগারে জমা হয় এক কোটি ৬১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৪৮ টাকা। মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয় দেখানো হয় ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ টাকা। কিন্তু বাস্তবে ওই মালামালের মূল্য পাঁচ কোটি টাকার বেশি নয়। বাকি টাকার পুরোটাই ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে; এমন অভিযোগ এনে দুদকের ১০৬ হটলাইনে অভিযোগ দেয়া হয়। এরপর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে এনিয়ে তদন্তে নামে দুদক।