‘শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৭ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার জন্যই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে তিনি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। যুদ্ধাপরাধের বিচার করে জাতিকে পাপমুক্ত করেছেন ৷ শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা মনন সৃজনশীলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে একসময়ের দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করে সেই দেশকে আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলেছে। তার নেতৃত্বে বিশ্বসভায় বিশেষ মর্যাদায় আজ বাংলাদেশ আসীন হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা সংকটের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকরি পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই বাংলাদেশে এখনো বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় এ সংক্রমণ থেকে কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটের ক্রান্তিলগ্নে জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দিনরাত্রি নিঃস্বার্থভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ৷ শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে করোনা সংকট জয় করে তার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।
এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।