শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলির মামলার রায় বুধবার
অনলাইন করেসপন্ডেন্ট
পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৫ বছর আগে বিএনপি সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলির মামলার রায় বুধবার ঘোষণা করা হবে বলে আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ রোস্তম আলী রায়ের দিন ঠিক করে এই আদেশ দেন।
এর আগে রোববার মামলার সাক্ষ্য ও জেরা শেষে একই বিচারক ৩০ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পাবনার জজ আদালতের পিপি আখতারুজ্জামান মুক্তা বলেন, “৩৮ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত বিচারকাজ শেষ করেছে। তারা যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাতে হামলার ঘটনায় আসামিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়েছে। বুধবার আদালত যে রায় ঘোষণা করবে তাতে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছি।”
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, “এ মামলায় উচ্চ আদালতে লিভ টু আপিল চলমান। এর পরও রায়ের দিন ঠিক হয়েছে। কোনো সাক্ষীই সুনির্দিষ্টভাবে অভিযুক্ত আসামিরাই যে বোমাবাজি ও গুলি করেছে তা বলেননি। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রায় হলে অবশ্যই আসামিরা খালাস পাবেন।”
এ মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর দুলাল আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
তবে ওই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
হামলার ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে ১৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করলেও বিএনপির আমলে তদন্ত এগোয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তদন্ত গতি পায়।
তদন্ত শেষে পুলিশ মোকলেছুর রহমান বাবলু, জাকারিয়া পিন্টুসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় শুনানি করছেন পিপি আক্তারুজ্জামান মুক্তা। অন্যদিকে আইনজীবি নুরুল ইসলাম গ্যাদাসহ কয়েকজন আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন।