শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলায় দণ্ডিত ৭ জনের আত্মসমার্পণ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাতজন আদালতে আত্মসমার্পণ করেছেন। এখনও পলাতক রয়েছেন ছয়জন। রবিবার পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এ তারা আত্মসমার্পণ করেন। এরা হলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম, মো. রবি, মামুন, আবুল কালাম আজাদ; দশ বছর দণ্ডিত রনো, চাঁদ আলী ও হুমায়ুন কবির। তাদের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আকতারুজ্জামান মুক্তা বলেন, গত ৩ জুলাই ওই মামলার রায়ে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ২৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনের দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। দণ্ডিত পলাতক ১৩ আসামির মধ্যে সাতজন রবিবার আত্মসমার্পণ করেছেন। তাদের মধ্যে চারজন যাবজ্জীবন এবং তিনজন ১০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সে সময়ের সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী স্টেশনে যাত্রাবিরতি ও পথসভা করার কথা ছিল।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, শেখ হাসিনার বহনকারী ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ট্রেন ও শেখ হাসিনার বগি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় ওই সময়ে জিআরপি পুলিশের ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিআইডি মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুন করে ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। দীর্ঘ ২৫ বছর পর গত ৩ জুলাই এই মামলার রায় ঘোষণা করেন পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ রোস্তম আলী।