শেখ আবু নাসের হাসপাতালে করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু
দ. প্রতিবেদক
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে এ করোনা ইউনিটের উদ্বোধন করেন।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচলক ডা. এস এম মোরশেদ এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ হাসপাতাল থেকে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জুম মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, খুলনায় যেহেতু করোনা রোগীর প্রাদুর্ভাব অনেক বেড়েছে সে কারণে অতিদ্রুত শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে একটি করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট করার জন্য বলা হয়েছিল মন্ত্রণালয় থেকে। সে মোতাবেক আমরা ৩০ জুন থেকে একটানা কাজ করে ইউনিটটি প্রস্তুত করি। শনিবার সকাল ১০টার দিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান করোনা ইউনিটের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর রোগী ভর্তি শুরু করা হয়। এখানে শুধু মাত্র করোনা পজিটিভ রোগী যাদের ভর্তি প্রয়োজন তাদের ভর্তি করা হবে। ৩৫টি সাধারণ বেড ও ১০টি আইসিইউসহ সর্বমোট ৪৫টি বেড নিয়ে হাসপাতালটিতে করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট চালু করা হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য প্রধানত যেটা লাগে তাহলো অক্সিজেন। অক্সিজেন সরবরাহ আছে। আর যেগুলো প্রয়োজন হয় হাইপো নেজাল ক্যানুলা, যা আমাদের এ মুহূর্তে একটিও নেই।
কতজন চিকিৎসক ও নার্স করোনা ইউনিটে দায়িত্ব পালন করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের এখানে খুবই চিকিৎসক সংকট। বিশেষ করে মেডিকেল অফিসার সংকট। ১০টি ইউনিট চালু রয়েছে হাসপাতালটিতে। যেখানে প্রত্যেকটি বিভাগে যে পরিমাণ মেডিকেল অফিসার দরকার তার অর্ধেকও নেই। এরপর করোনা ইউনিট শুরু হয়েছে। মোট ১১ জন মেডিকেল অফিসার ও ৩০ জন নার্স নিয়ে করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়েছে।
ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত মোট পাঁচজন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন করোনা ইউনিটে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত ২৯ জুনের এক চিঠির আলোকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশের আলোকে গত বুধবার সকালে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সব বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসপাতালের উত্তর পাশের জরুরি বিভাগ সংলগ্ন প্লাস্টিক অ্যান্ড বার্ন ইউনিটে ২০টি ও ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে ১৫টি বেড স্থাপন করা হয়। ওই ৩৫টি বেড ছাড়াও চতুর্থ তলার আইসিইউ বিভাগের ১০টি বেডও করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়। আইসিইউর ১০টিসহ মোট ৪৫টি বেডে রোগী ভর্তি করা হবে। নিচতলা থেকে রোগীদের চতুর্থ তলার আইসিইউতে নেওয়ার জন্যও ব্যবহার করা হবে পৃথক লিফট।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়