শুকিয়ে গেছে বীজতলা, অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ ব্যাহত
বাগেরহাটের শরণখোলায় অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষ করতে পারছেন না কৃষকরা। তীব্র তাবদাহে অধিকাংশ বীজতলা শুকিয়ে গেছে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে আমন ধানের চাষাবাদ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে এ বছর আমন চাষ হচ্ছে। কৃষক রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার।
উপজেলার চার ইউনিয়নের (সাউথখালী, ধানসাগর, রায়েন্দা, খোন্তাকাটা) বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়, পানির অভাবে আমনের বীজতলা শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। তীব্র তাবদাহে অনেক জায়গায় মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এছাড়া স্লুইস গেটের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় চাষাবাদ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের চাষি মান্নান হাওলাদার বলেন, বৃষ্টি না হওয়াতে আমনের বীজতলা শুকিয়ে গেছে। অনেকে আবার বীজতলা তৈরিই করতে পারেনি। আমাদের এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি স্লুইসগেট থাকলেও তা অচল থাকার কারণে নদী থেকে পানি এনেও চাষ করা যাচ্ছে না। এখন আমন চাষ করতে পারব কি না তাই নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি।
রায়েন্দা এলাকার চাষি সগির শেখ বলেন, চাষাবাদের ওপর আমাদের জীবিকা চলে। কিন্তু চাষই যদি করতে না পারি, তাহলে চলব কীভাবে? হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, চলতি বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় ইউনিয়নের কৃষকদের চাষাবাদে অসুবিধা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে, বা পানির বিকল্প ব্যবস্থা করতে না পারলে কৃষকদের না খেয়ে থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, অনাবৃষ্টিতে কৃষকদের তৈরি বীজতলাও শুকিয়ে গেছে। অনেকে আবার বীজতলা তৈরিই করতে পারেনি।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, এই উপজেলার কৃষকদের নিজস্ব কোনো সেচ ব্যবস্থা নেই। এছাড়া মাটিতে লবণাক্ততা বেশি। তাই বৃষ্টির ওপর নির্ভর করা ছাড়া কৃষকদের তেমন বিকল্প পানির ব্যবস্থা নেই। তবে অনাবৃষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে কৃষকদের রবিশস্য সরিষা অথবা স্বল্প জীবনকালের ধান চাষের আগ্রহ সৃষ্টিতে চেষ্টা করা হচ্ছে।