শীতেও পর্যাপ্ত পানি পান করুন
গরমের সময় নিয়মিত পানি পান করলেও শীতকালে আমরা ভুলে যাই পানি পানের কথা। শীত এলেই পানি খেতে যেন আর ভালো লাগে না আমাদের। চা, কফি ইত্যাদি পানীয় গ্রহণের মাত্রা বেড়ে গেলেও পানি পানের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। যেমন- ডিহাইড্রেশন, বদ হজম, মাথাব্যথা ইত্যাদি। তাই শীতের সময়েও নিয়মমাফিক পানি পান করা প্রয়োজন। কেননা এ সময় শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে। পানি শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে এবং শক্তির মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ঠান্ডার সময় বা শীতকালে দরকার হলে পানি কুসুম গরম করে পান করুন। কিন্তু পানি পান করা কমিয়ে দেওয়া যাবে না।
শীতে পানি কেনো খাবেন?
১) শরীর গরম রাখার জন্যঃ শুনে হয়তো অবাক হচ্ছেন তবে এটি সত্যি শরীরের সঠিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে যেসব রাসায়নিক বিক্রিয়া শরীরের অভ্যন্তরে চলতে থাকে সেগুলি ঠিকমত চলার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পানি আবশ্যক। সুতরাং পানি কম খেলে আপনি শীতে আরও বেশি ঠাণ্ডা অনুভব করতে পারেন।
২) রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ শীতে ঠাণ্ডা-জ্বর, সরদি-কাশি এমনিতেই অনেক বেড়ে যায়। তবে দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণ আপনার শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
৩) বাড়তি ওজন কমায়ঃ চর্বি বা ফ্যাট বিপাকের জন্য পানি অত্যাবশ্যক। শীতকালে মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে পরিশ্রম করার প্রবনতা কমে যায়। ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই শীতকালে ফ্যাট বিপাকের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা আরও জরুরী হয়ে দাঁড়ায়।
কিভাবে শরীরের পানি স্বল্পতা দূর করা যায়?
১) সঠিক পানীয় নির্বাচনঃ এই গরমে চা কফি না হলে যেন চলেই না। চা কফি খেতে পারেন তবে অবশ্যই পরিমাণে বেশি নয়। কারণ এইসব পানীয় এক ধরণের ডাইউরেটিক (Diuretic) যা প্রস্রাবের সাথে শরীর হতে পানির নির্গমন বাড়িয়ে দেয়। তাই চা-কফির বদলে স্ট্যু, স্যুপ,গরম দুধ হতে পারে ভালো বিকল্প। এছাড়াও ফলের রসও খেতে পারেন।
২) ফল খানঃ ফলে প্রচুর পানি আছে। তাই পানি সল্পতা রোধে ফল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। এই শীতে বাজারে নানা ধরণের ফল ও শাকসবজি পাওয়া যায়। সেগুলো প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন।
৩) ব্যাগে পানি রাখুনঃ স্কুল,কলেজ,ভার্সিটি বা কর্মক্ষেত্র; গন্তব্য যাই হোক,ব্যাগে পানির বোতল রাখুন। যাতে প্রয়োজনবোধে হাতের কাছেই পানি পেতে পারেন।
(সংগৃহীত)